‘জঙ্গি’ সন্দেহে আটক প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : সিআইডি’র হাতে ‘জঙ্গি’ সন্দেহে আটক প্রভাষক এসএম সাদিকুর রহমান পলাশের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

 

সিআইডি যশোর জোনের পরিদর্শক আজগর আলী আটকের আট দিন পর শনিবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। তথ্য গোপন করে অসাধু উপায়ে সরকারি চাকরি করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।

 

পুলিশের কাছে পলাশ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরির সক্রিয় সদস্য।

 

পলাশ যশোর সদর উপজেলার আন্দোলপোতা গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি উপশহর সারথী মিল মোড়ের ১ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর প্লটে বসবাস করেন। তিনি ঝিনাইদহের সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের প্রভাষক।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে গত ১৯ আগস্ট রাতে তার উপশহরস্থ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তিনি একেক সময় একেক রকম কথা বলতে থাকেন। পরে তাকে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ জানান, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সক্রিয় সদস্য। ২০১২ সালে কাঁটাবন এলাকায় হিজবুত তাহরির পোস্টার লাগানোর সময় ঢাকার শাহবাগ পুলিশের হাতে সে সময় আটক হন তিনি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা হয়।

 

১৯ আগস্ট পলাশকে আটকের পর তার ঘর তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে একটি পেন ড্রাইভ, একটি কম্পিউটার এবং বেশ কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়। সব বইয়ের লেখক সায়েদ আবুল আল মওদুদী এবং অধ্যাপক গোলাম আযম।

 

তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণ, তিনি তথ্য গোপন করেন এবং ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঝিনাইদহের সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

 

তিনি একটি মামলার আসামি এবং নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হয়ে তথ্য গোপন করে অপরাধ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

 

 

রাইজিংবিডি/যশোর/২৭ আগস্ট ২০১৬/বিএম ফারুক/মুশফিক