‘সরকার রাষ্ট্রীয় চিকিৎসাখাতকে বেসরকারিকরণ করছে’

আগামী মার্চ মাস থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বসেই ব্যক্তিগত রোগী দেখার সুযোগ পাবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা- সরকারের এ সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী বলে আখ্যায়িত করেছে জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদ।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ফয়জুল হাকিম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা, জনস্বাস্থ্য সংগঠক অনুপ কুন্ডু এবং সামিউল আলম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, এই সিদ্ধান্ত জনগণের ট্যাক্সের অর্থে প্রতিষ্ঠিত সরকারি হাসপাতালগুলোকে ক্রমান্বয়ে বেসরকারিকরণের এক প্রকারের চক্রান্ত।

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের খেদমতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে জনগণকে চিকিৎসা প্রদানের সেবাব্যবস্থাকে খর্ব করে বর্তমান সরকার ইউজার ফি চালু করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ফি দিয়ে বৈকালিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের প্র্যাকটিস করতে দিয়েছে। সমগ্র রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবাখাতকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দিতে চলেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের শ্রমজীবী ও নিম্নবিত্তের মানুষের দুর্দশা আরও বৃদ্ধি করবে।

বিবৃতিতে ইনস্টিটিটিউশনাল প্র্যাকটিসের নামে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবাখাতকে ক্রমান্বয়ে বেসরকারিকরণ করার গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি জনগণের স্বাস্থ্যঅধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন গড়ে তুলতে দেশের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তির প্রতি, জনদরদি চিকিৎসক-স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।