ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

ইরান ও ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কী কী আছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২০:৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
ইরান ও ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কী কী আছে

ইসরায়েলের উপর ১৩ এপ্রিল ইরান প্রথমবারের মতো সরাসরি আক্রমণ চালিয়েছিল। এ ঘটনার পর ইরানের ওপর পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এই মুহূর্তে ইরান ও ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি আলোচনায় চলে এসেছে।

ইরান

লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস) -এর তথ্য অনুসারে, ইরানের বিমান বাহিনীতে ৩৭ হাজার কর্মী রয়েছে। তবে কয়েক দশকের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে ইরান সর্বাধুনিক উচ্চ প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের আগে অর্জিত রাশিয়ার যুদ্ধবিমান এবং বার্ধক্যযুক্ত মার্কিন মডেলসহ বিমান বাহিনীর মাত্র কয়েক ডজন সক্ষম যুদ্ধ বিমান রয়েছে।

তেহরানের ৯টি এফ-৪ এবং এফ-৫ যুদ্ধবিমানের একটি স্কোয়াড্রন, রাশিয়ার তৈরি সুখোই-২৪ জেটের একটি স্কোয়াড্রন এবং কিছু মিগ-২৯, এফ ৭ ও এফ১৪ যুদ্ধ বিমান রয়েছে।

ইরানিদের কাছে হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোন রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন এই ড্রোনের সংখ্যা এক হাজারের কম হতে পারে। এর বাইরে ইরানের তিন হাজার ৫০০ এরও বেশি সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে কম সংখ্যক ইসরায়েলে পৌঁছতে সক্ষম। প্রতিরক্ষার জন্য ইরান রাশিয়ার ও দেশীয়ভাবে উৎপাদিত সারফেস টু এয়ার মিসাইল এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিশ্রণের উপর নির্ভর করে।

তেহরান ২০১৬ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৩০০ অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট ব্যবস্থা পেয়েছিল। এটি বিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ একযোগে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

ইরানের অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত বাভার-৩৭৩ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল প্ল্যাটফর্ম এবং সায়াদ ও রাদ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

আইআইএসএস-এর রিসার্চ ফেলো ফ্যাবিয়ান হিনজ বলেছেন, ‘যদি দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়, ইরান হয়তো মাঝেমধ্যে সাফল্যের দিকে মনোনিবেশ করবে। তাদের কাছে ইসরায়েলের মতো ব্যাপক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই।’

ইসরায়েল

ইসরায়েলের যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত উন্নত যুদ্ধ বিমানের বহর রয়েছে। এই বহরে শত শত এফ-১৫, এফ-১৬ এবং এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমান রয়েছে। 
দেশটির বিমান বাহিনীর কাছে দূরপাল্লার বোমারু বিমানের অভাব রয়েছে। অবশ্য তাদের কাছে পুনঃনির্মাণ করা বোয়িং ৭০৭ এর একটি ছোট বহর রয়েছে যা রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কার হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে ইসরায়েল তার যোদ্ধাদের ইরানে পৌঁছাতে সক্ষম।

ড্রোন প্রযুক্তিতে অগ্রগামী ইস্রায়েলের কাছে হেরন পাইলটবিহীন বিমান রয়েছে যা ৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে উড়তে সক্ষম এবং এটি দূরবর্তী অপারেশনের জন্য যথেষ্ট। এর ডেলিলাহ লোটারিং যুদ্ধাস্ত্রের আনুমানিক পরিসীমা ২৫০ কিলোমিটার।

ইসরায়েল ব্যাপকভাবে দূরপাল্লার সারফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল তৈরি করেছে বলে মনে করা হয়। এর পাশপাশি দেশটির বহু-স্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যার মধ্যে সর্বাধুনিক অ্যারো-৩ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়