ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

হাদিকে হত্যাচেষ্টার মামলা রূপ নেবে হত্যা মামলায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৬:২৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
হাদিকে হত্যাচেষ্টার মামলা রূপ নেবে হত্যা মামলায়

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার মামলা এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের মাধ্যমে তা সম্পন্ন করবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জন গ্রেপ্তার হলেও মূল হামলাকারীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর। এ কারণে আমরা সবদিক বিবেচনায় তদন্ত করছি। আগে এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হলেও এখন যেহেতু ভুক্তভোগী মারা গেছেন, এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে মামলায় ৩০২ ধারা সংযোজন করে আবেদন করবেন। এর পরেই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে তদন্ত করা হবে। যদিও ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। তারই অংশ হিসেবে মামলাটি এখন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।

রাইজিংবিডি ডটকমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিও আপনার মতো শুনেছি, শুটাররা পালিয়ে গেছে। তবে, আমাদের কাছে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য নেই যে, তারা পালিয়ে গেছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা সন্দেহ করছেন, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—ঘটনার আগে শুটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হাদিকে গুলি করা। ঘটনার আগে আশুলিয়ার একটি রিসোর্টে তার জন্য মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়। সর্বোপরি, অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করা হয়।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, হাদির শুটার ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ময়মনসিংহ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। এমন একটি চাঞ্চল্যকর ও ভয়ঙ্কর অপরাধ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে প্রকাশ্যে করে কীভাবে নিরাপদে পালিয়ে গেল, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

হাদিকে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শুটারকে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে সিবিয়ন দিউ এবং সঞ্জয় চিসিম, ফয়সালের বাবা, মা, স্ত্রী, বান্ধবী ও শ্যালক রয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদের নাম এসেছে।  তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতকে জানিয়েছে। ঘটনার পর র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে নরসিংদী এবং ঢাকার আগারগাঁও থেকে হামলায় ব্যবহৃত ম্যাগাজিন, গুলি এবং বেশকিছু বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।

এদিকে, হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাহবাগ এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। ক্ষুব্ধ জনতা রাতে রাজধানীতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। অবশ্য সরকার থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং হাদির স্ত্রী ও সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়