ভাইরাল জ্বর হলে কী খাবেন, কী খাবেন না
দেহঘড়ি ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ছবি: প্রতীকী
চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘ভাইরাল জ্বর সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় হয়ে থাকে। এটি ছোঁয়াচে রোগ। এর লক্ষণের মধ্যে আছে উচ্চ তাপমাত্রা, মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি ও গা-হাত-পায়ে ব্যথা।’’
ভাইরাল জ্বর সারলেও দুর্বলতা থেকে যায় বেশ কিছু দিন। জ্বরের সময়ে ও সেরে ওঠার পরে কী কী খাবেন ও কোন কোনটি বাদ দেবেন, তা জেনে রাখা জরুরি।
জ্বরের সময়ে কী কী খাবেন?
জ্বর বা যে কোনও অসুস্থতার সময়ে পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে সবচেয়ে ভাল হল স্যুপ। সব্জি দিয়ে হালকা স্যুপ বা চিকেন দিয়ে স্যুপে ভরপুর পুষ্টি থাকে। এতে যেমন ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলি ভরপুর মাত্রায় থাকে, তেমনই ফাইবারও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। এই সময়ে মুসুর ডালের স্যুপ খেতে পারেন।
হালকা ও তরল খাবারই বেশি খেতে হবে এই সময়ে। টাটকা ফলের রস বা স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।
জ্বরের সময়ে দুধ-চিনি দেওয়া চা বা কফি পান করলে শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা বাড়বে। এতে প্রদাহ তৈরি হবে। এই সময়ে গ্রিন টি বা ভেষজ চা দুই বেলা পান করলে আরাম পাবেন। এর জন্য দারচিনি বা তুলসীর চা খেতে পারেন।
জ্বর কমে যাওয়ার পরে: জ্বর সেরে যাওয়ার পরেও দুর্বলতা থাকতে পারে। এই সময়ে কিছু খাবার খেলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
এক. প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট এবং খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ ডাব, যা দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করবে। ডাবের পানি পান করলে শরীরে পানি ও খনিজের ভারসাম্যও বজায় থাকবে।
দুই. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগির মাংস চর্বি বাদ দিয়ে, দুধ–দই ও নিরামিষের মধ্যে ছোলা, মুসুর ডাল, সয়াবিন ও নানা রকম বাদাম খেতে পারেন।
তিন. ভাতের সঙ্গে চিকেন স্ট্যু, পাতলা করে রান্না করা মাছের ঝোল খেতে পারেন।
চার. মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। গলা ব্যথা বা কাশি কমাতেও সাহায্য করে। কুসুম গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাবেন।
কী কী খাবেন না?
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন, নরম পানীয়, চকোলেট, আইসক্রিম খাবেন না।
কেটে রাখা ফল দিয়ে বানানো সালাদ না খাওয়াই ভাল।
ফ্রিজে রেখে দেওয়া পাউরুটি, বাসি খাবার ভুলেও খাবেন না।
চিপ্স, সসেজ, জাঙ্ক ফুড, যে কোনও প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া চলবে না।
রাস্তায় বিক্রি হওয়া লাচ্ছি বা শরবত খাবেন না।
সূত্র: আনন্দবাজার
ঢাকা/লিপি