‘বিল্ডিং দেখলেই ভয় পাই’
নিয়াজ || রাইজিংবিডি.কম
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পোশাকশিল্প শ্রমিক জেসমিন আক্তার। এখন যার বড় পরিচয় রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত নারী। ঘটনার দুই দিন পরে ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় তাকে।
মঙ্গলবার রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির দুই বছর উপলক্ষে বেসরকারি গবেষনা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির এক সংলাপে অংশ নিয়ে জেসমিন বলেন, ‘চিকিৎসা নিয়ে শারীরীক অবস্থার একটু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু মানসিকভাবে এখনো স্বাভাবিক হতে পারছি না। বিল্ডিং (ভবন) দেখলেই এখনো ভয় পাই।’
এ ঘটনায় তার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে যায়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেখানে রড ব্যবহার করা হয় বলে জানান জেসমিন। এখনো তার প্রতিমাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার ওষুধ প্রয়োজন হয়। টাকার অভাবে তা কিনতে পারেন না বলেও অনুযোগ করেন তিনি।
ঘটনার দুই বছর অতিবাহিত হলেও নায্য ক্ষতিপূরণ পাননি দাবি করে আহত জেসমিন আরও বলেন, ‘এ যাবৎ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। তিন হাজার টাকা খরচ করেও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে কোন সাহায্য পাইনি।’
এ সময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম সচিব মিকাইল শিপার জেসমিনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এ সংলাপে বক্তারা বলেন, সাভারের ভবন ধ্বসের পর বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। তবে এ সবের মধ্যে সমন্বয় ও স্বচ্ছতার অভাব স্পষ্ট। তাই জবাবদিহি নিশ্চিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলেই সামগ্রিকভাবে এগোনো যাবে।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং রানা প্লাজা ধ্বসে আহত শ্রমিক মরিয়ম বেগম, মনোয়ারা বেগম এবং উদ্ধারকর্মীরা বক্তব্য দেন।
সংলাপে মূল প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির অতিরিক্ত গবেষনা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ এপ্রিল ২০১৫/নিয়াজ/সুমন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন