শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের আহ্বান

শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে চলমান ৭৫তম সাধারণ পরিষদের চতুর্থ কমিটির সাধারণ বিতর্কে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাঠ পর্যায়ে শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘ থেকে ‘অ্যাডাপ্ট অ‌্যান্ড অ্যাডজাস্ট’শীর্ষক পদক্ষেপটির প্রশংসা করেন তিনি।

টেকসই শান্তি নিশ্চিত ও শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে উন্নীত করতে মাঠপর্যায়সহ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের উচ্চতর পদসমূহে নারী শান্তিরক্ষীদের পদায়ন আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্র কাঠামোর আওতায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওই দেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষার প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন রাবাব ফাতিমা।

কোভিড-১৯ এর মধ্যেও জাতিসংঘের বিশেষ রাজনৈতিক মিশনসমূহ তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার মূল কারণ খুঁজে বের করে তা সমাধান করা এবং রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমি মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি। এক্ষেত্রে দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূতের শক্তিশালী প্রচেষ্টা গ্রহণের প্রতি জোর দেন রাবাব ফাতিমা।

‘মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিষয়ক কমিটি (কোপিউয়াস)’ এর আওতায় ‘স্পেস-২০৩০’ এজেন্ডার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর কথা উল্লেখ করে তিনি।

উপনিবেশবাদ বিলোপ, ফিলিস্তিনি প্রশ্ন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, বিশেষ রাজনৈতিক মিশন ও মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয়াবলী নিয়ে সাধারণ পরিষদের চতুর্থ কমিটি কাজ করে থাকে। জাতিসংঘের সব সদস্যরাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহ চতুর্থ কমিটির এই সভায় অংশগ্রহণ করে।