হাতিয়ায় জোয়ারে ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত চরঈশ্বর, সুখচর, নলচিরা ইউনিয়নে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নিচু এলাকার ছয়টি গ্রাম প্লাবিত করেছে।
এতে ওই ছয় গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি লোকজন শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারের দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন চরঈশ্বর, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের (বেড়ি বাঁধ) ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবল স্রোতের মাধ্যমে প্রবেশ করতে থাকে। এতে করে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের নিচু এলাকার ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম জানান, গত কয়েকদিনের পূর্নিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আগামী ৩-৪ দিন পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই হাতিয়া উপজেলার বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল ও মৎস খামার।
তিনি আরও জানান, এ তিনটি ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ নেই। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বেড়িবাঁধ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এগুলো মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে মন্ত্রাণালয়কে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু করা হবে।
মাওলা সুজন/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন