হাঁস বিক্রি হয়নি, কেনা হলো না সন্তানের জামা
নাটোর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পাঁচ/ছয় মাস যত্ন করে খাবার খাইয়ে বড় করেছিলেন রাজহাঁসগুলো। গৃহিণী শেফালী বানুর আশা ছিল, এবারের ঈদে হাঁসগুলো বিক্রি করবেন। এতে বেশ কিছু টাকা আসবে। সেই টাকায় সন্তানের নতুন জামা কিনে দেবেন। করবেন ঈদের বাজারও।
কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে দেশের অবরুদ্ধ অবস্থায় তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। দাম না পাওয়ায় হাঁসগুলো বিক্রি করতে পারেননি তিনি।
শুধু শেফালী বানু নয়, নাটোর জেলার সাতটি উপজেলার সব গ্রামে একই চিত্র। সিংড়ায় উপজেলার বালুবাসুয় গ্রামের গৃহিণী তাহমিনা বেগম জানান, ঈদে তিনি প্রতিটি রাজহাঁস নয়শত থেকে ১২শত টাকায় বিক্রি করতেন। এবার ক্রেতা নেই। যা দু-একজন ক্রেতা মেলে তারা দাম বলেন ২৫০ হতে ৩০০ টাকা।
নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল রাব্বি বলেন, তিনি আশাবাদী একদিন করোনার দুর্যোগ কেটে যাবে। আবার সব স্বাভাবিক হবে। তখন মানুষ তার পণ্যের উপযুক্ত দামও পাবেন।
আরিফুল/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন