ঢাকা     শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৭ ১৪৩১

কুমিল্লায় ১ মণ ধানের দামেও শ্রমিক মিলছে না 

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ১৬ মে ২০২৪   আপডেট: ১৮:১৯, ১৬ মে ২০২৪
কুমিল্লায় ১ মণ ধানের দামেও শ্রমিক মিলছে না 

কুমিল্লায় দক্ষিণা বাতাসে বোরো জমিতে দুলছে সোনালী ধান। এখন চলছে ধান কাটা-মাড়াই উৎসব। তবে জেলায় ধান কাটার শ্রমিকের সংকট রয়েছে। 

জেলার মাঠে-ঘাটে এখন পাকা ধান। তবে শ্রমিক সংকটে কৃষক সময় মতো ধান কাটতে পারছে না। এক মণ ধানের দামেও একজন শ্রমিক মিলছে না। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৮০০-৮৫০ টাকা। একইসঙ্গে দিতে হচ্ছে দুই বেলা খাবার।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার বোরো জমিতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবিঘা ধান কাটা-মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিকদের দিচ্ছে হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। বাজারে ধানের ভালো দাম না থাকায় উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে শঙ্কিত চাষিরা। তবে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হলে হয়ত দাম বেশি পাওয়া যাবে এমনটাই আশা করছে তারা।

আরো পড়ুন:

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালকোট গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এবার আমি চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। ফলন আল্লাহ দিলে অনেক ভালো হয়েছে। কাটা-মাড়াই শুরু করেছি। বিঘাপ্রতি ২০-২১ মণ ধান ঘরে তুলছি। তবে বাজারে ধানের দাম কম।’

দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ গ্রামের কৃষক আমিন মিয়া বলেন, ‘১৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। কয়েকটা জমির ধানে পাক ধরেছে। এসব পাকা ধান কাটতে লোক লাগিয়েছি। বাকি জমির ধান পাকতে আরও ৮-১০ দিন সময় লাগবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করছি ফলনও ভালো পাবো।’ 

রংপুর থেকে আসা ধান কাটা শ্রমিক রহিম সর্দার বলেন, ‘আমরা ১০ জনের দল একসঙ্গে ধান কাটা-মাড়াই করছি। শুধু ধান কেটে নিলে আমরা বিঘাপ্রতি ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা নিচ্ছি। আর কাটা ও মাড়াই করে নিলে ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা নিচ্ছি। আমরা দিনে প্রায় ৪ থেকে ৫ বিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করছি।’ বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৫০ টাকা। মুরাদনগর, দেবিদ্বার, চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

কুমিল্লা কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শেখ আজিজুর রহমান বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৮৮ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে, যা মোট ফলনের ৮৯ শতাংশ। আর ফলনের দিক থেকে ১ম অবস্থানে রয়েছে ব্রি-ধান ১০৪। এই ধান হেক্টরপ্রতি গড়ে ৪ দশমিক ৮ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যাচ্ছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রি ধান ৮৯। ২২ হাজার ৭৫৭ হেক্টর জমিতে এ ধান চাষ হয়েছে।

কুমিল্লা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইউব মাহমুদ বলেন, এবার জেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা ধান কাটার শ্রমিক সংকট নিরসনের চেষ্টা করবেন।

রুবেল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়