বগুড়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী-শাশুড়ি আটক
বগুড়া সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
প্রেম করে পালিয়ে বিয়ের নয় মাসের মাথায় যৌতুকের বলি হয়েছেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার স্বর্ণালী খাতুন (১৮)। যৌতুকের দাবিতে রোববার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলার চাকলমা গ্রামে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে।
নিহত স্বর্ণালীর বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বর্ণালী ও খায়রুল ইসলাম (১৯) মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। এই সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খায়রুল চাকলমা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তারা নয় মাস আগে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এরপর কয়েক দিনের মধ্যে পারিবারিকভাবে সমঝোতা করে তাদের বিয়ে মেনে নেওয়া হয়। এর কয়েক মাস পর থেকে স্বর্ণালীকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন চার লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এর আগেও স্বর্ণালীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হয়।
তিনি বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে- জানতে পেরে তিনি আজ সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাড়িতে যান। সেসময় মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। পরে যৌতুক বিষয়ে উভয়পক্ষ আলোচনার জন্য আগামী বুধবার দিন ধার্য করেন। পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। বেলা ১১টার পর তাকে ফোন করে জানানো হয়- স্বর্ণালী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে তিনি মেয়ের বাড়ি গিয়ে লাশ দেখতে পান। মেয়ের লাশের গলায়, কানে ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, চার লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর বলেন, স্বর্ণালীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বামী খায়রুল ইসলাম ও শাশুড়ি নাদিরা বেগমকে আটক করা হয়েছে।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এনাম/বকুল
আরো পড়ুন