ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

খুলনায় ৯-৫টা মার্কেট-দোকান খোলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৫, ১১ জুন ২০২১   আপডেট: ১৭:২৩, ১১ জুন ২০২১
খুলনায় ৯-৫টা মার্কেট-দোকান খোলা

খুলনায় করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সপ্তাহব্যাপী জারি করা বিধিনিষেধ কিছুটা শীতিল করা হয়েছে। তবে এখন বিধিনিষেধ পুরো জেলায় আরোপ করা হয়েছে এবং তা ১৩ জুন থেকে ২০ জুন এক সপ্তাহে বলবৎ থাকবে।

শুক্রবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সব সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন।

গত ৪ জুন থেকে খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও রূপসা থানায় এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়। যা ১০ জুন শেষ হয়েছে। নতুন বিধিনিষেধে খুলনা মহানগর এবং জেলার সব উপজেলা অর্থাৎ ৯টি উপজেলা কার্যকর হবে।

নতুন বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে বিকেল ৫টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দোকান, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, যানবাহন বন্ধ থাকবে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সব ধরণের দোকান, শপিংমল, ও রেস্তোরাঁ ইত্যাদি খোলা থাকবে। আগের বিধিনিষেধে এই সময়ে কাঁচাবাজার এবং মুদি দোকান ছাড়া সব মার্কেট ও শপিংমল দিনের ২৪ ঘণ্টায় বন্ধ ছিল। তবে ওষুধের দোকানসহ জরুবিসেবা বরাবরের মতো বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে।

নতুন বিধিনিষেধের আওতায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হয়ে অযথা ঘোরাঘুরি করতে পারবে না। অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে লাইসেন্সধারী ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে।

সভায় খুলনা করোনা রোগীর চিকিৎসার শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অতিসত্ত্বর যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিন পাঁচশত রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত সাতদিনে ২২৩টি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৫৩৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরণের মোবাইলকোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা বিভাগের করোনা পরিস্থিতি নাজুক। এর আগে সাতদিনের যে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়, তাতে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। খুলনার বাস্তবচিত্র তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, এক প্রান্ত খোলা রেখে অন্য প্রান্ত বন্ধ রেখে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে কেউ রেহাই পাবে না।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইসমাঈল হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, সাতক্ষীরার প্রভাব খুলনায় এসে পৌঁছেছে। আম এবং বন্দরের মালামাল আনা নেওযায় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এখানে সংক্রমণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। যশোরে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সেখানে বিধিনিষেধ চলছে। বাগেরহাটের মোংলায়ও বিধিনিষেধ চলছে।

সভায় খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলম সোহাগ, সরকারি কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 

নুরুজ্জামান/সাইফ/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ