ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে বন্যায় মৎস্যখাতে দুই কোটি টাকার ক্ষতি 

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৫:৫২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
মানিকগঞ্জে বন্যায় মৎস্যখাতে দুই কোটি টাকার ক্ষতি 

মানিকগঞ্জে চলতি বছরের বন্যায় মৎস্যখাতে দুই কোটি ১৭ লাখ  ৩৯ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে করে নতুন খামারিরা পড়েছেন বিপাকে। পুরাতন খামারিরাও আর্থিক লোকসান গুনছেন।

জেলা মৎস্য অফিস জানায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা, শিবালয় উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সিংগাইর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৪০ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ঘিওর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ২০ লাখ ২০ হাজার টাকা, হরিরামপুর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৪৮ লাখ ২২ হাজার টাকা, দৌলতপুর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও সাটুরিয়া উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে ২৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এর মধ্যে এক কোটি ৯০ লাখ টাকার মাছ, ২ লাখ ২৪ হাজার টাকার পোনা, ২৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার পুকুর, ঘের, স্লুইচ গেটসহ অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর এলাকার মৎস্য খামারি খোরশেদ আলম বলেন, আশেপাশের সফল মৎস্য খামারিদের দেখে এ বছর প্রথম বাণিজ্যিকভাবে লাভের আশায় পুকুরে মাছ চাষ শুরু করি।  পোনা ও বড় মাছসহ বেশ কিছু মাছ পুকুরে ছিলো। তবে বন্যার পানিতে সব ভেসে গেছে। ব্যবসার প্রথমেই বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়েছি। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে ব্যবসা করার সুযোগ পেতাম। না হলে মাছের ব্যবসা ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাবে।

আব্দুল মান্নান নামের আরেক মৎস্য খামারি বলেন, পুকুরে যে রেণু পোনা ও মাছ ছাড়া হয়েছিলো বন্যার পানি বাড়ায় তা বের হয়ে গেছে। রুই, কাতল, মৃগেল, সরপুটি, বাটা মাছের পোনাগুলো মাত্রই বিক্রির উপযোগী হয়েছিলো, তবে তা আর বিক্রি করার সুযোগ পেলাম না। বন্যার কারণে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়ে গেছি।

শিবালয় উপজেলার উলাইল গ্রামের মো. কামাল বলেন, বন্যার পানিতে পুকুরের চারপাশের জালগুলো ভেসে যাওয়ায় নলা, কাতল মাছ বের হয়ে গেছে। এতে করে খুব লোকসানে পড়েছি।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকার রকিবুল ইসলাম বাবু বলেন, এ ইউনিয়নের ১৮টি পুকুরে মাছ চাষ করি। রেণু পোনা থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছ চাষ করেছিলাম। বন্যায় কয়েকটি পুকুরের পোনা ও বড় মাছগুলো ভেসে গেছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি পুকুরের অবকাঠামোগত কাজে অন্তত লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, জেলার ২৮টি ইউনিয়নে বন্যার পানিতে প্রায় ৩৮ হেক্টর পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারিদের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো সহযোগিতা করলে তা পর্যায়ক্রমে খামারিদের দেওয়া হবে।

জাহিদুল হক চন্দন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়