ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মির্জাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে চলছে যানবাহন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৭:১৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
মির্জাপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে চলছে যানবাহন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পেকুয়া-পাথরঘাটা সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় পড়ে আছে। চলাচলের উপযোগী না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে শতাধিক যানবাহন। এতে করে যে কোনো মুহূর্তে ব্রিজটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রিজটি দিয়ে মির্জাপুরের বাঁশতৈল ইউনিয়নের অভিরামপুর, কটামারা, ইনথখাচালা, বংশীনগর, দিঘীবাড়ি, মুথারচালা ও বালিয়াজানসহ পার্শ্ববর্তী সখিপুর উপজেলার রাজাবাড়ি, দেওয়ানপাড়া, বাজাইল ও কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া, মুনচালা ও পাগুড়াচালা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন মির্জাপুর সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা এই ব্রিজটি দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে এসব এলাকার মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি অফিসের তথ্যমতে, ১৯৯৮ সালে মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের কেয়ার বাংলাদেশ ৪৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থের ব্রিজটি নির্মাণ করে। এতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। এরপর কেটে গেছে ২৩টি বছর। এই ব্রিজ দিয়ে মালবাহী ভ্যান, কাভার্ভ ভ্যান, সিএনজিসহ ছোট-বড় শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। সম্প্রতি ব্রিজের মাঝখানের স্ল্যাব ভেঙে রড বেড়িয়ে গেছে। ভাঙা অংশটি ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় ঝুঁকিও বেড়েছে। 

এলাকাবাসীরা জানান, পেকুয়া থেকে বাঁশতৈল হাটে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। তাদের খেতের উৎপাদিত সবজিসহ বিভিন্ন প্রকার ফল-মূল নিয়ে হাটে বিক্রি করতে যেতে বিপাকে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে পরিবহন ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে। আগে উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন ব্রিজের ভাঙা অংশের কারণে ভ্যানে করে কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে হচ্ছে। যার ফলে মুনাফার থেকে অতিরিক্ত পরিবহন খরচ গুণতে হচ্ছে। 

বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মিল্টন জানান, পেকুয়া ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। 

এলজিইডি মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান জানান, ব্রিজটির বর্তমান অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ব্রিজটি অনেক পুরাতন হওয়ায় ওই স্থানে নতুন আরেকটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

তিনি আরো জানান, ব্রিজ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়নের মাধ্যমে খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। এরপর অনুমোদন পেলেই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। 

আরাফাত/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়