৪৮০ টনের ফেরি উদ্ধার নিয়ে সংশয়
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা
পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় রো রো ফেরি আমানত শাহর আংশিক উল্টে গেছে বুধবার। ডুবে যাওয়ার দ্বিতীয় দিনে উল্টে যাওয়া ৪৮০ টনের ফেরিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
এদিকে, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার ৬০ টন পর্যন্ত উদ্ধার সক্ষমতা রয়েছে। তাই ৪৮০ টনের ফেরি উদ্ধার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের তিন ইউনিট কাজ করছে। ফেরিতে আটকা পড়া বাকি ৫ যানবাহন উদ্ধারে হামজা কাজ করলেও কবে নাগাদ ফেরিটি উদ্ধার করা হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ।
অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাজাহান জানান, আমানত শাহ ফেরিটির বডির ওজন ৪৮০ টন। ভেতরে পানি থাকায় ওজন আরও বেড়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজার ৬০ টন পর্যন্ত উদ্ধার সক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যয় নামের যে জাহাজটি অভিযানে যুক্ত হবে সেটি ২৫০ টন পর্যন্ত উদ্ধার সক্ষমতা রয়েছে। হামজা ও প্রত্যয় স্থানীয় বিভাগগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ফেরিটি উদ্ধার করতে হবে। কারণ উদ্ধারকারী জাহাজগুলোর উদ্ধার সক্ষমতার চেয়ে আমানত শাহর ওজন বেশি। আপাতত হামজা দিয়ে যানবাহনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭ যানবাহন ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ফেরিটি ছেড়ে আসে ফেরিটি। পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় ৩ যানবাহন নামতে পারলেও সকাল পৌনে ১০টার দিকে কাত হয়ে পন্টুন এলাকায় ১৪ কাভার্ডভ্যান ও মোটরসাইকেলগুলো নিয়ে ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিট, তিনটি ডুবুরি দল ও উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটি মোটরসাইকেল ও চারটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।
চন্দন/বুলাকী
আরো পড়ুন