ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৫, ৩১ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৩:৩৬, ৩১ অক্টোবর ২০২১
স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্বামী রফিক শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  এছাড়া একই মামলার অপর এ‌কটি ধারায় আসামিকে  ৭ বছরের জেল ও ২৫ হাজার টাকা জ‌রিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছ‌রের কারাদণ্ড দেন বিচারক।

রোববার (৩১ অক্টোবর) খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত র‌ফিক শেখ রূপসা উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত আবেদ শেখের ছেলে। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রফিক শেখের সঙ্গে ২০১৭ সালে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার হালিমা বেগমের ছোট মেয়ে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা বেশ সুখে ছিল। কিন্তু মরিয়ম মোবাইলে তার বাবার বাড়িতে একটু বেশি  কথা বলায় তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। মোবাইলে কথা বলাকে সন্দেহ করতেন স্বামী রফিক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এক পর্যায়ে তারা উভয় নেহালপুর থেকে ফকিরহাট উপজেলার খাজুরা এলাকায় রকি শেখের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। কিন্তু সেখানেও তাদের মধ্যে প্রায় ঝগড়া হত। 

২০২০ সালের ১২ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বাড়ি এসে রফিক তার স্ত্রীকে না পেয়ে সন্দেহের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। বাইরে থাকার কারণ জানতে চায় তিনি। কিন্তু স্ত্রীর কাছ থেকে কোনো উত্তর না পাওয়ায় রফিক মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে রফিক রূপসা উপজেলার দেবীপুর গ্রামের দীপক দাসের পানের বরজে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ইট দিয়ে মরিয়মের মাথায় আঘাত করতে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে তিনি মরিয়মের শরীরে বস্তা পেচিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। 

এরপর রফিক শেখ বাড়ি ফিরে গিয়ে মরিয়মকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে প্রতিবেশীর মাধ্যমে মরিয়মের মাকে খবর পাঠান। মরিয়মের মা সম্ভাব্য আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিতে থাকে। এর দু’দিন পর মরিয়মের অর্ধগলিত ও পোড়া লাশ পানের বরজের মধ্য থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হালিমা বেগম লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মেয়েকে শনাক্ত করেন।পরে নিহতের মা রফিক শেখসহ নাম না জানা আরো চারজনের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মামলা করেন। 

একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত  কর্মকর্তা এসআই মো. শাহাবুদ্দিন গাজী রফিক শেখকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

নূরুজ্জামান/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়