ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সাত্তার মাদবর মঙ্গল মাঝির ঘাটে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল

শরীয়তপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৪ ডিসেম্বর ২০২১  
সাত্তার মাদবর মঙ্গল মাঝির ঘাটে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল

শরীয়তপুরের জাজিরার সাত্তার মাদবর মঙ্গল মাঝির ঘাটে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল করেছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫০মিনিটে ৪৫টি যানবাহন নিয়ে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি কুঞ্জলতা পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে এ ফেরিঘাটে এসে পৌঁছায়।

পদ্মা নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় নাব্যতা সংকটে ও কয়েক দফায় পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরি ধাক্কা লাগার কারণে গত ১৮ আগস্ট থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট ও শিমুলিয়া ঘাটের মধ্যে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরপর ২৫ আগস্ট জাজিরার এই ফেরিঘাট প্রস্তুত করা হয়। 

আরো পড়ুন:

শিমুলিয়া- সাত্তার মাদবর মঙ্গল মাঝির ঘাট চালু করা গেলে এ নৌরুট দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন, জরুরিসেবার যানবাহন পরিবহনের জন্য ঘাটটি ব্যবহার করা হবে। 

বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথ দিয়ে শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ঢাকা, চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া যাওয়ার পথে ফেরি ৫ দফা পদ্মা সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগে। এরপর নদীতে স্রোত বৃদ্ধি পেলে পুনরায় ধাক্কা লাগার আশঙ্কায় গত ১৮ আগস্ট থেকে ওই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সাত্তার মাদবর মঙ্গল মাঝির ঘাট এলাকায় গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে ফেরি ঘাট নির্মাণ করে বিআইডব্লিউটিএ'র প্রকৌশল বিভাগ। নারায়ণগঞ্জ থেকে রোরো ফেরি আনা হয় ওই ঘাটে।

পদ্মা নদীতে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলে কিছু অংশ ভরাট করে সেখানে ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫০ ফুট প্রশস্ত ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। জিওব্যাগের ওপর বাঁশ, ইট ও বালু দিয়ে ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। ঘাট নির্মাণ করতে ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশল বিভাগ।

বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস. এম. আশিকুজ্জামান বলেন, সাত্তার মাদবর মঙ্গল মাঝির ঘাটে স্থায়ীভাবে ফেরি চলাচল সম্ভব নয়। আজকে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচলের সময় কমপক্ষে চার জায়গায় ফেরি আটকে যায়। নাব্যতা সংকটের কারণে বাণিজ্যিকভাবে আজ থেকে ফেরি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খনন করতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে।

ইমন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়