ভাঙ্গায় আন্দোলন, দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি
রাজবাড়ী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের কারণে হঠাৎ করেই দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
একইসঙ্গে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত ও ঘাট সংকটের কারণে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে এই চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আটকে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়াও অন্তত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে যাত্রীবাহী বাসের সারি।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়ায় সাতটি ফেরি ঘাটের মধ্যে ১, ২, ৫ ও ৬ নম্বর ফেরি ঘাট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছিল। পলি জমে ৭ নম্বর ঘাট চ্যানেলে নাব্যতা সংকট সৃষ্টি হওয়ায় গত ২৩ আগস্ট থেকে সেটি বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া তীব্র স্রোতের কারণে ৪ নম্বর ঘাটের পন্টুনে ফেরির আঘাতে প্লেট ভেঙে গেছে। ফলে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে এ ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। এটার মেরামতের কাজ চলছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া ঘাটে শুধু ৩ নম্বর ফেরি ঘাট চালু রয়েছে। পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। সবমিলিয়ে ফেরি পারাপারে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।
এদিকে, পণ্যবাহী ট্রাকের ফেরিতে উঠতে সময় লেগে যাচ্ছে ১২-১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। যাত্রীবাহী বাসের ফেরিতে উঠতে সময় লাগছে ৩-৪ ঘণ্টা। পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, “ফরিদপুরে চলমান আন্দোলনের কারণে দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহারকারী যানবাহনের পরিমাণ হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া ঘাট সংকট ও নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। এজন্য ঘাট এলাকায় যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।”
ঢাকা/রবিউল/মেহেদী