ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৮ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

 বিরামপুরে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২৯ মার্চ ২০২২   আপডেট: ১০:৫২, ২৯ মার্চ ২০২২
 বিরামপুরে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন

ক্ষেত থেকে মরিচ তোলায় ব্যস্ত নারী শ্রমিকরা

চলতি শীত ও গ্রীষ্ম মৌসুমে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় কাঁচামরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ক্ষেতের গাছ থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে এবং তা বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন নারী শ্রমিকরা। 

এই উপজেলায় এবার ১০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। কৃষকরা এই মরিচ বাজারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি করছেন।

আরো পড়ুন:

সোমবার (২৮ মার্চ) বিরামপুর উপজেলার চক হরিদাসপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের প্রতিটি গাছে প্রচুর মরিচ ধরেছে। ছোট ছোট গাছের সবুজ পাতার নিচে ঝুলছে সবুজ-লাল কাঁচা মরিচ। বাজার জাত করার মতো হয়েছে প্রতিটি গাছের মরিচ। এক মণ মরিচ তুলতে পারলে শ্রমিকরা পান ১২০ টাকা। তাই গ্রামের ৮ থেকে ১০ জন নারী একত্রে হয়ে ক্ষেতের মরিচ তোলার কাজ করছেন।

এদিকে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে কৃষকের খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। লাগানোর ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে গাছে মরচি ধরতে শুরু করে। এর ১৫ দিন পরপর ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে হয় কৃষককে। এক বিঘা জমিতে প্রতিবার প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মণ মরিচ পেয়ে থাকেন চাষি। 

বর্তমান কাঁচা মরিচ চাষ করে যেমন লাভবান হচ্ছেন কৃষক, তেমনি স্থানীয় নারীদেরও একটা কর্মসংস্থান হচ্ছে।

মরিচ তুলা নারী শ্রমিক রিনা বেগম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা গ্রামের বিভিন্ন মরিচ ক্ষেতে মরিচ তুলার কাজ করি। প্রতিটি ক্ষেতে ১৫ দিন পর পর কাজ করি। এতে আমাদের অনেক উপকার হয়। সংসারে সব কাজের পাশাপাশি আমরা এই কাজটিও আনন্দের সঙ্গে করে থাকি।’

জাহেরা বেগম নামে অপর এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমরা এখানে ৮ জন নারী মরিচ তোলার কাজ করছি। কন্টাক্টে কাজ করি। মণপ্রতি ১২০ টাকা পাই। সারাদিনে ১৫ থেকে ১৬ মণ মরিচ ভাঙতে পারি আমরা। এতে যা উপার্জন হয় তা আমরা আমাদের সংসারের কাজে লাগাই।’

চক হরিদাসপুর গ্রামের মরিচ চাষি নাসির উদ্দিন বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মরিচ তোলার জন্য ক্ষেতে ৮ জন নারীকে কাজ দিয়েছি। গত এক মাস যাবৎ ক্ষেত থেকে মরিচ তুলে বাজারে বিক্রি করছি। বর্তমান ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বাজারে পাইকারি দিয়ে আসছি। তবে এর আগে মরিচের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পেয়েছিলাম।’ 

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, ‘এই উপজেলায় সব ধরনের রবিশষ্যের চাষ হয়। শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে এ উপজেলার মাটি উপযুক্ত। বর্তমান উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ করেছেন কৃষকরা। ফলন অনেক ভালো হওয়ায় বাজারে দামও ভালো পাচ্ছে কৃষকরা। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছি।

মোসলেম/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়