সবুজ মাঠে দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ হাসি
এস এম শরিফুল ইসলাম, নড়াইল || রাইজিংবিডি.কম
নড়াইল সদর উপজেলার কাকড়ার বিল এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠ সরিষা ফুলের হলুদ আভায় রঙিন হয়ে উঠেছে।
দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। সড়কের দুই পাশের প্রকৃতি যেন সেজেছে আপন মহিমায়। নয়নাভিরাম সরিষা ফুলের দৃশ্য, ফুলের গন্ধ, পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ আর মৌমাছির গুঞ্জন মনকে করে বিমোহিত।
নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের সড়ক সংলগ্ন কাকড়ার বিল এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সরিষা ফুলের হলুদ আভায় রঙিন হয়ে উঠেছে। কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমিতে রিলে পদ্ধতিতে এই ফসলটি আবাদ করেছেন বাড়তি আয়ের পথ হিসেবে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এই জেলায় ১৩ হাজার ৪৮৭ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এবছর ১৯ হাজার ২৮৬ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গোবরা গ্রামের কৃষক সুজন কুমার বিশ্বাস বলেন, “দুই একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। সরিষা বিক্রি করে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
তিনি বলেন, “রিলে পদ্ধতিতে সরিষা আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
কাকড়ার বিল সংলগ্ন পশ্চিম পাশের মুশুড়িয়া গ্রামের কৃষক আলী আকবার বলেন, “৪০ শতক জমিতে এবার সরিষা চাষ করেছি। ফুল দেখে মনে হচ্ছে ফলন ভালো হবে। বাড়ির তেলের চাহিদা পূরণ করে বাজারে সরিষা বিক্রিও করতে পারব। সরিষা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য ও মৌমাছির গুঞ্জন দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। তারা ছবি তুলছেন, ভিডিও ধারণ করছেন।”
নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, “যেসব জমিতে দুই ফসল হতো, সেখানে রিলে পদ্ধতিতে আমন ধানের সঙ্গে সরিষা চাষ করে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এতে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে এ পদ্ধতিতে জমি আবাদ করতে কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয় কৃষকদের। আমরা আশাবাদী এ বছর সরিষার উৎপাদন ভালো হবে।”
ঢাকা/মাসুদ