ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে অতিরিক্ত খাজনা দাবি, মাছ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৫, ১৪ এপ্রিল ২০২২  
কিশোরগঞ্জে অতিরিক্ত খাজনা দাবি, মাছ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে কিশোরগঞ্জ শহরে অতিরিক্ত খাজনা দাবির প্রতিবাদে মাছ বিক্রি বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে শহরের বড়বাজার মাছমহালে মাছ ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তারা এ সময় ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাছ বিক্রি করবে না বলে ঘোষণা দেয়।

নতুন বাংলা সনের জন্য কিশোরগঞ্জ শহরের পুরানখানা ১৪ লাখ, বড়বাজার ২১ লাখ ও কাচারিবাজার মাছমহাল ৭ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। দুপুরের দিকে বড়বাজার মাছমহালে ইজারাদারের লোকজন খাজনা তুলতে গেলে বিপত্তি বাঁধে। তারা পৌরসভা নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অনেক বেশি দাবি করলে মাছ ব্যবসায়ীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

কিশোরগঞ্জ শহর মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. মুকসেদ মিয়া জানান, পৌরসভার নির্ধারিত খাজনা বড়মাছের ক্ষেত্রে প্রতি ভিটি পাঁচ টাকা, আর ছোট মাছের ক্ষেত্রে চার টাকা। এভাবেই এতদিন খাজনা দিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তবে নতুন ইজারাদার নিয়োগের পর তারা প্রতি ভিটি দেড়শত থেকে দুইশত টাকা দাবি করে। এত বেশি টাকা খাজনা দিয়ে ব্যবসা করা কঠিন। তাই ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদ করেছেন। আর এতে ইজারাদারের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়। ফলে ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ বিক্রি বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, পৌরসভার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি মাছ ব্যবসায়ীলা দেবেন না। 

এসব নিয়ে দুইপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে বড়বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাছ ব্যবসায়ীরা মাছমহাল বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে শহরের বড়বাজার, পুরানথানা ও কাচারিবাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদর থানার সামনে অবস্থান নেয়। 

কিশোরগঞ্জ শহর মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আলম মিয়া বলেন, ‘কোনোদিন ইজরাদারদের সঙ্গে খাজনা নিয়ে ঝামেলা হয়নি। তবে নতুন ইজারাদাররা বছরের প্রথম দিনেই অস্বাভাবিক হারে খাজনার বোঝা চাপিয়ে দেয়। যা আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘটে নেমেছি।’  

এ বিষয়ে বড়বাজার মাছমহালের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম আরজু বলেন, ‘আমার জানামতে আগে মাছ ব্যবসায়ীরা একশত থেকে দেড়শত টাকা হারে খাজনা দিতেন। আমাদের এ হারে খাজনা না দিলে পৌরসভার মেয়র যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা-ই আমরা মেনে নেবো। অথবা ইজারা বাতিলের জন্য পৌর মেয়রের কাছে আবেদন করবো।’ 

তবে মাছ ব্যবসায়ীরা ইজারাদারের বক্তব্য মিথ্যা দাবি করে বলেন, তারা কোনোদিন একশত থেকে দেড়শত টাকা হারে খাজনা দেননি। 

কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে পৌরসভা নির্ধারিত খাজনার চেয়ে বেশি আদায়ের সুযোগ নেই। অভিযোগ সত্য হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
 

রুমন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়