ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৭, ২৩ জুন ২০২২  
চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ত্রাণ

চুলার পাশে বসে রান্না দেখছে একটি শিশু

হবিগঞ্জে বন্যায় সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম। এদিকে প্রশাসনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী হবিগঞ্জের ৭টি উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন বন্যায় ডুবেছে। বৃষ্টি কমে আসলেও পানিবন্দি প্রায় ৭ লাখ মানুষ। 

বন্যার কারণে বিশুদ্ধ পানি আর খাদ্যের অভাব চারদিকে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা সংগঠন ত্রাণ নিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। জেলায় মোট সরকারি বরাদ্দ বন্যা কবলিতদের মাথাপিছু হিসাব করলে তা অত্যন্ত অপ্রতুল। অতিদরিদ্র পরিবারগুলোর এ সাহায্যে চলছে না। তারা সরকারের কাছে ত্রাণ বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। 

সরকারি হিসাবে হবিগঞ্জ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ২৩ হাজার ২৩৫টি। প্রশাসন এ পর্যন্ত দুর্গতদের মাঝে ২০০ টন চাল বিতরণ করেছে। এসব চাল ক্ষতিগ্রস্তদের মাথাপিছু হিসাব করলে জনপ্রতি পড়বে দেড় কেজির একটু বেশি। এছাড়া টাকা বিতরণ করা হয়েছে ১০ লাখ। মাথপিছু ভাগ করলে প্রতিজন পাবেন সাড়ে ৮ টাকার একটু বেশি। এছাড়া ৭টি উপজেলায় ২ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে ৪০০ টাকার পণ্য রয়েছে।

এদিকে অসংখ্য মানুষ খাবারের জন্য মানবেতর জীবন যাপন করলেও তারা ত্রাণ পাচ্ছেন না।

বানিয়াচং উপজেলার চান্দের মহল্লার কলেজ ছাত্র শাকিল আহমেদ বলেন, ‘পাঁচদিন ধরে আমার এলাকার মানুষ পানিবন্দি। এখানে অনেক পরিবারই এখন পর্যন্ত সরকারি অথবা বেসরকারি পর্যায়ে বিতরণ করা ত্রাণ সমগ্রী পাননি।’ 

একই চিত্র দেখা গেছে উপজেলাটির গুচ্ছগ্রাম, পিরিজপুর, নোয়াগাঁও এবং বদলপুর গ্রাম ঘুরে।

আজমিরীগঞ্জের হিলালপুর গ্রামের ওয়ারিশ মিয়া বলেন, ‘আমি আশপাশের কয়েকটি পরিবারকে কয়েকবার খাবার দিয়েছি। কিন্তু এতে তাদের চলছে না। এখন পর্যন্ত ত্রাণ না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘সরকারি ত্রাণ বিতরণে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রের বাসিন্দা ছাড়া বন্যা কবলিতদের অধিকাংশই ত্রাণ পাচ্ছেন না।’ 

প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই, বাহুবল, মাধবপুর, আজমিরীগঞ্জ এবং সদর উপজেলায় পানিবন্দি মানুষদের জন্য ২২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ৩০টি মেডিক্যাল টিম গঠন করে তা সক্রিয়ভাবে চালু রাখা হয়েছে।

মামুন চৌধুরী/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়