যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যৌতুকের টাকার জন্য খাদিজা বেগম (২১) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার পর তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী শফিক মিয়ার বিরুদ্ধে। 

সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের জিহাদনগর গ্রামের পুকুর থেকে খাদিজার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খাদিজা বেগম জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের জয়ধরকান্দি গ্রামের জুরু মিয়ার কন্যা।

খাদিজার চাচাতো ভাই ইমান উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ বছর আগে কুন্ডা ইউনিয়নের জিহাদনগর গ্রামের মরহুম কালাগাজীর ছেলে শফিক মিয়ার সঙ্গে খাদিজার বিয়ে হয়। তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য খাদিজাকে নির্যাতন করতো শফিক ও তার পরিবারের লোকেরা। মারধরের শিকার হয়ে গত তিন মাস আগে খাদিজা বাবার বাড়িতে চলে আসে। কয়েকদিন আগে বিষয়টি মিমাংসা করে খাদিজাকে বাড়িতে নিয়ে যায় শফিক। রোববার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতে শফিক খাদিজার পরিবারের লোকজনের কাছে মোবাইল ফোনে জানায়, খাদিজা পানিতে ডুবে মারা গেছে। পরে বিষয়টি নাসিরনগর থানার পুলিশকে অবহিত করলে সকালে পুলিশ পুকুর থেকে খাদিজার লাশ উদ্ধার করে। 

তিনি দাবি করেন, যৌতুকের টাকার জন্যই শফিক তাকে নির্যাতন করে হত্যা শেষে তার লাশ পানিতে ফেলে দেয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। তার পায়ে জুতা ছিল। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।