শিক্ষা কর্মকর্তাকে মারধর: ডাটা এন্টি অপারেটর বরখাস্ত

নোয়াখালীর হাতিয়ায় গণিত অলিম্পিয়াড প্রশিক্ষণে শিক্ষকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার উপর হামলার ঘটনায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম। 
ফেরদৌসী বেগম বলেন, বুধবার সকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজোয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত চিঠিটি মেইলে পেয়েছি।   

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-৩ এর (খ) ধারা অনুযায়ী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্টি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় সরকারি চাকুরী আইন ২০১৮ এর ৩৯ (১) ধারা মোতাবেক ডাটা এন্টি অপারেটর মোহাম্মদ ছাকায়াত হোসনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর রাতে হাতিয়া উপজেলার ওছখালীতে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান (৩৯) হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়াত হোসেন এবং নাম না জানা আরও ৮ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।

জানা যায়, শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ১৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। হাতিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছলে ৮ থেকে ৯ জন মুখোশধারী ব্যক্তি পথ আটকিয়ে তার ওপর হামলা করে। 

এর আগে একই দিন সকালে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ছাকায়াত হোসেন গণিত অলিম্পিয়াড প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের কাছে ‘৫০০ টাকা করে চাঁদা’ দাবি করেন। তাতে রাজি না হওয়ায় এক শিক্ষককে মারধর করেন ছাকায়েত। এ ঘটনায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল প্রতিবাদ করেন। পরে ছাকায়েতের বিচার চেয়ে শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপি দেন।