ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ ছাত্রীকে মারধর

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৬, ২৯ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৯:৪২, ৩০ নভেম্বর ২০২২
লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে ২ ছাত্রীকে মারধর

লক্ষ্মীপুরে পরীক্ষা কেন্দ্রে দুই ছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শহরের দারুল উলুম কামিল (আলিয়া মাদ্রাসা) মাদ্রাসায় সহকারী (বাংলা) শিক্ষিকা সালমা আক্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মর্জিনা বেগম সদরের ইউএনও'র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আরো পড়ুন:

এর আগে সকালে ওই মাদ্রাসায় বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা জোহরা মীম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী নুহাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে মীমের মুখ-মণ্ডল জখম করে অভিযুক্ত শিক্ষিকা। পরে মীম ও নূহা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, মাদ্রাসার শিক্ষক ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণীর ছাত্রী মীম এক সময় বাংলা শিক্ষিকা সালমার কাছে প্রাইভেট পড়তো। ১০ দিন প্রাইভেট পড়ার পর মীম প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দেয়। তখন মীম তার ১০ দিনের প্রাইভেট পড়ার টাকা দিতে চাইলে সালমা সেই টাকা নেয়নি। আজ মীমের হাদিস পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব পড়ে সালমা আক্তার ও শিক্ষক জলিলের। দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় সালামা ও জলিলের মধ্যে যেকোনো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। হঠাৎ মীমের দিকে দৃষ্টি পড়ে সালমার। এ সময় তিনি মীমের ওপর রাগান্বিত হয়ে প্রাইভেটের টাকার কথা বলে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। একপর্যায়ে মীম ও নূহাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা সালমা বেগম বলেন, ‘আমার কাছে মীম ৫ মাস প্রাইভেট পড়েছে। হঠাৎ সে আর প্রাইভেটে আসছে না, আমার টাকাও দিচ্ছে না। এ ছাড়া মীম আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাই আমি আজ তাকে চড়থাপ্পড় দিয়েছি।’ 

মীমের মা মর্জিনা বেগম বলেন, ‘শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে অপরাধ না করেও শিক্ষকদের হাতে শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছিত হবে- এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। আমি আজ বিকেলে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ এ সময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। 

লক্ষ্মীপুর দারুলউলুম কামিল (এমএ) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নেছার উদ্দিন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি কারো কাম্য নয়। মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির নেতাদের সঙ্গে জরুরি মিটিং করে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেনকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম ভুলু বলেন, বিষয়টি নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। 
 

লিটন/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়