ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কুমিল্লায় মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত

কুমিল্লা প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২২   আপডেট: ২০:৫০, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
কুমিল্লায় মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত

জহিরুল ইসলাম

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় জমি নিয়ে পুর্ব বিরোধ ও পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লা ও ইউপি সদস্য সাইফুলের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম নিহত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামে সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিতাস থানার পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হয়েছে। 

নিহত জহিরুল ইসলাম (৩২) ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে এবং একই ইউনিয়নের যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানা যায়, যৌথ পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আবু মোল্লা চেয়ারম্যান ও সাইফুল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় দাওয়া-পাল্টা দাওয়া হয়। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে সাইফুল মেম্বারের লোকজন প্রকাশ্যে হামলা চালায়। এ সময় আবু মোল্লা চেয়ারম্যানের ছেলে যুবলীগ নেতা মো. জহির, পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। 

মারাত্মকভাবে আহত জহিরুল ইসলাম কে প্রথমে তিতাস উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আহত পুলিশ সদস্যসহ অন্যদের তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার ছেলে ও নিহত জহিরের ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমার কেনা জায়গা থেকে জোর করে মাছ ধরে নিয়ে গেলে জহির এসে বাধা দেয়। এতে সাইফুল মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করে। তারা পুলিশের উপস্থিতিতে আমার বাড়িতে হামলা এবং লুটপাট করে। এ সময় আরও ৪/৫ জন আহত হয়েছে।’ তিনি দোষীদের গ্রেফতার ও হত্যার বিচার দাবি করেন। 

সাইফুল ইসলাম মেম্বারের বলেন, ‘আমার পুকুরের মাছ জোর করে ধরে নিতে আসলে আমার লোকজন বাধা দেয়। তারা বাধা আমান্য করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’ 

এ ব্যাপারে তিতাস থানা ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে দুই পক্ষের ইটপাটকেলের আঘাতে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ আহত হয়েছে। আহত জহিরের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 
 

রুবেল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়