ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সৈকতে হাজারো পর্যটকের বিজয় উদযাপন

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২  
সৈকতে হাজারো পর্যটকের বিজয় উদযাপন

বৃহস্পতিবার থেকেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা।

ডিসেম্বরের মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তেমন পর্যটক ছিলো না সমুদ্র কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। পর্যটন ব্যবসায়ীরা এসময় এক ধরনের মন্দায় দিন কাটিয়েছেন। তবে বিজয় দিবস উপলক্ষে এবং শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা। 

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সৈকতের লেম্বুর চর, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী এবং শুটকি পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপিস্থিতি। সমুদ্রের ঢেউয়ে সাতার কাটাসহ সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে ছবি তুলে তারা উপভোগ করছেন নিজেদের একান্ত সময়টুকু। 

এদিকে কুয়াকাটার অধিকাংশ  হোটেল মোটেল বুকিং অবস্থায় রয়েছে। আগত পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 

টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘শীতকালে সৈকতে তেমন ঢেউ থাকে না। তবে আজ মোটামুটি ভালোই ঢেউ উপভোগ করেছি। এটা দেখে মনে হয়েছে বিজয়ের ঢেউ।’ 

বরগুনা থেকে আসা অপর পর্যটক সাইফুল মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সৈকতে এসেছি। বাচ্চারা সৈকতের নোনা জলে আনন্দে মেতে উঠেছে। মোট কথা কুয়াকাটার পরিবেশটা বেশ ভালোই লেগেছ।’

কুয়াকাটা সৈকতের আচার ব্যবসায়ী রুমান মিয়া বলেন, ‘এতদিন বেচা বিক্রি ছিল না। ডিসেম্বরের শুরুর দিনগুলো বেশ মন্দায় কাটিয়েছি। আজ সৈকতে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। আশা করছি ভালো বিক্রি হবে। বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবো।’ 

ফুচকা ব্যবসায়ী নাছের মিয়া বলেন, ‘এ মাসের শুরুর দিকে এমন দিন গেছে দৈনিক ৫০০ টাকাও বিক্রি করতে পারিনি। তবে আজ বেশি পর্যটকের আগমন দেখে মনটা ভরে গেছে। আশা করছি আগের তুলনায় অনেক বেশি বিক্রি করতে পারবো।’ 

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসেসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘আজ কুয়াকাটার ২০০ হোটেলের সবটিতেই কম বেশি বুকিং আছে। আশা করছি আগের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো।’ 

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় আজ কুয়াকাটায় অনেক বেশি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছি। যে কোনো ধরনের অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিষ্ট পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।’ 

ইমরান/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়