ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জমজমাট মেলায় বিক্রি হলো সোয়া ২ কোটি টাকার মাছ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১৩:০১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩
জমজমাট মেলায় বিক্রি হলো সোয়া ২ কোটি টাকার মাছ

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের মাছের মেলায় বিক্রি হয়েছে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার মাছ। এরমধ্যে ৪৫ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়।

গতকাল রোববার দুপুর থেকে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত মেলায় চলে মাছ বিক্রি। 

করোনা সংক্রমণের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর পৌষ সংক্রান্তির এই মেলাটি এবার বেশ জমে ওঠে। পইল নতুন বাজার খেলার মাঠে বিশাল জায়গাজুড়ে এই মেলাটি বসে। মাঠের বেশিরভাগ জায়গায় মাছ নিয়ে বসেছিলেন ৫০০ মাছ বিক্রেতা। বাকি জায়গায় ছিল খেলনা ও খাবারসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী নানা পণ্য। এবারের ঐতিহ্যবাহী এই গ্রামীন মেলায় অংশ নিতে হবিগঞ্জ সদর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, লাখাই, চুনারুঘাট ও মাধবপুরসহ আশপাশের ৮ থেকে ১০টি উপজেলার মানুষরা এসেছিলেন।

মেলায় সোয়া দুই কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হলেও ৩০ কেজি ওজনের একটি রুই ও ৪৫ কেজির বাঘাইড় মাছকে ঘিরেই ছিল মানুষের উৎসাহ। এ দুটি মাছ বিক্রি হয় গতকাল রাতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, হরেক রকমের মাছ নিয়ে মেলায় আসেন বিক্রেতারা। তারা বাঘাইড়, রুই, কাতল, বোয়াল, মৃগেল, শিং, মাগুর, কই, পাবদা, চিংড়ি, চিতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মেলায় বিক্রি করতে দেখা গেছে তাদের।

৪৫ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছটি নিয়ে আসেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের জাবুর আলী। তিনি মাছটির দাম হেঁকেছিলেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে গতকাল রাত ১০টার দিকে ৫০ হাজার টাকায় তার মাছটি বিক্রি হয়।

জাবুর আলীর পাশেই ৩০ কেজি ওজনের একটি রুই নিয়ে বসেন পইল ডালিহাটি গ্রামের আব্দুল আলী। উৎসুক লোকজন এই মাছটি দেখতেও ভিড় জামান। তিনি মাছটির দাম হেঁকেছিলেন ৫০ হাজার টাকা। রাতে মাছটি বিক্রি হয়েছে ২৫ হাজার টাকায়।

মাছ বিক্রির জন্য আজমিরীগঞ্জ থেকে আসেন কামরুল মিয়া। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে মেলায় মাছ বিক্রি করি। এবার আমি ১০ থেকে ২০ কেজি ওজনের মাছ নিয়ে এসেছি।’

সোমবার সকালে পইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ বলেন, ‘মেলায় প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেশি মাছ বিক্রি হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিপিন চন্দ্র পালের জন্মভূমি পইল গ্রামে প্রতিবছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই মেলাকে ঘিরে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে গত দু’বছর মেলাটি আয়োজন করা হয়নি। এজন্য এবার ক্রেতা ও বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি ছিল।’

মামুন চৌধুরী/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়