ঢাকা     সোমবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সেঞ্চুরির অপেক্ষায় কাঁচা মরিচ

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩  
সেঞ্চুরির অপেক্ষায় কাঁচা মরিচ

রংপুরের বাজারগুলোতে সবজিতে কিছুটা সস্তি ফিরলেও ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছে খুচরা বাজারে।

তবে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগি ও আলুর। আর অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দাম।

আরো পড়ুন:

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর নগরীর সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ছিলো ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।

সিটি বাজারে কাঁচামরিচ মরিচ কিনতে আসা আলিশা খানম নামের এক নারী বলেন, ‘শীত মৌসুমে অনেক ধরনের টাটকা সবজি বাজারে উঠেছে ভালো লাগছে। অনেক সবজি কিনলাম দাম কিছুটা কম। তবে গত ১০ দিন আগে আধা কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম ৩০ টাকা দিয়ে আজ আধা কেজি কিনলাম ৪৫ টাকা দিয়ে। দাম বাড়াটা অস্বাভাবিক।’ 

কাঁচা মরিচ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কিছুটা কমে সস্তি ফিরেছে সবজিতে। এই বাজারে গাজর কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, বেগুন ১৫-২০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২০-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ২০-২৫ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫-২০ টাকা পিস এবং ফুলকপি ২০-২৫ টাকা পিস দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও খুচরা বাজারে আলুর দামও কিছুটা কমেছে। বর্তমানে নতুন কার্ডিনাল আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া শিল ও ঝাউ আলুর দাম কমে ৩০-৪০ টাকা এবং গ্রানুলা (সাদা) আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। 
এই বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাজহাট এলাকার কাওসার নামের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘শীত মৌসুমে সবজির দাম অনেক কমে এসেছে। প্রতিটি এলাকা এখন সবজিতে ভরপুর।’ 

কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে এই ব্যববসায়ী বলেন, ‘সবজির তুলনায় মরিচ কম পাওয়া যাচ্ছে কৃষকের কাছে। তাই দাম সামান্য কিছুটা বেড়েছে।’

এদিকে সবজি ছাড়াও নগরীর এই বাজারে খুচরা দরে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতো ১৪০-১৫০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৪১০-৪২০ টাকা, পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা দরে। গরুর মাংস ৬২০-৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮০০-৮৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

নগরীর সিটি বাজারের মাংস বিক্রেতা হাবীব বাবু জানান, গরু আর খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত থেকে সহনীয় পর্যায়ে আছে। আমরা ৬৩০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছি। গত ছয় মাস ধরে মাংসের দাম বাড়েনি। মানুষ আগের দামেই মাংস পাচ্ছেন।

সিটি বাজার ও শঠিবাড়ীর বাজার কমিটির সদস্য রাসেল ও বাবু জানান, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বর্তমানে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে ফসলের মাঠে সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকরাও নিজে বাজারে এনে সবজি পাইকারি দরে বিক্রি করে যাচ্ছেন। কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ করে কিছুটা বেড়েছে সেটিও কমে আসবে। 

আমিরুল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়