‘নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে’ 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিএনপির করা ১০ দফা দাবি নাকচ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অসাংবিধানিক-অগণতান্ত্রিক দাবি সামনে নিয়ে আসছে। এই দাবিকে এই দেশের মানুষ পাত্তা দিচ্ছে না, আমলে নিচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হবে।’

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আগামী ২৯ জানুয়ারি এই মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভায় ভাষণ দেবেন।

আবদুর রহমান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কথা বিএনপি বহু আগে থেকেই বলছে, এটা নতুন কথা না। বিএনপি একটা দেউলিয়া রাজনৈতিক দল, নেতৃত্বহীন দল। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া দুজন কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাদের দলে একটা সংকট আছে, সেই সংকটে তারা ভুগছে। সুতরাং নেতাকর্মীদের মাঝে-মধ্যে একটু উৎসাহ-উদ্দীপনা দেওয়ার জন্যই বিএনপি নেতারা এসব কথা বলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখের পরে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। কিন্তু এখনও শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ চলে। সুতরাং, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পেছনের প্রেক্ষাপটটা হলো একটা অসাংবিধানিক এবং অপরাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায়ন করা। এটা দেশের মানুষ মানে না।’

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।