ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শত বছরের গ্রামীন মেলায় উৎসবের আমেজ

জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৮, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩  
শত বছরের গ্রামীন মেলায় উৎসবের আমেজ

একদিনের মেলাকে কেন্দ্র করে ছিল গ্রামবাসীর মধ্যে উৎসবের আমেজ

মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রাম। কংক্রিটের প্রলেপ দেওয়া মেঠোপথে মানুষের ঢল। উপলক্ষ গ্রামের স্কুল মাঠে বসেছে গ্রামীন মেলা। নানা বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখোর মেলা প্রাঙ্গন। 

গ্রামীন মেলার মুখোরচোক খাবার থেকে শুরু করে খেলনা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, নাগরদোলায় চেপে মুক্ত বিহঙ্গের মতো ডানা মেলেছিল শিশুর দল। গৃহবধূরাও ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন মেলা প্রাঙ্গনে। ব্যস্ত দিন তাদেরও কেটেছে কেনাকাটায়। 

সভ্যতা,সংস্কৃতি আর শেকড়ের টানে সবাই ছুটে এসেছিলেন মেলায়। যে কারণে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছিল উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে এলাকার মেয়ে, জামাই ও আত্নীয় স্বজনের নিমন্ত্রণের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই মেলা চলে আসছে শত বছরেরও বেশি সময় ধরে।

দাদার ঘাড়ে চড়ে মেলা ঘুরছে নাতি

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনসুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে একদিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল খাঁন।

মেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান জনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহম্মেদ শামীম, কাজী মাহেলা, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফিজ শিকদার প্রমুখ। 

আমজাদ হোসেন নামের এক স্কুল শিক্ষক বলেন, দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শত বছরের গ্রামীন মেলা বসেছে। যে কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। মেলা উপলক্ষে এলাকার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও আত্নীয় স্বজনের নিমন্ত্রণের রেওয়াজ দীর্ঘদিনের।

সুমাইয়া আক্তার বলেন, প্রতি বছর এ দিনটির জন্য অপেক্ষা করি। গ্রামীন মেলায় সবার সঙ্গে দেখা হয়, কথা হয়। মেলায় গ্রামীন ঐতিহ্যের জিনিসপত্র, খাবার দাবার পাওয়া যায়। সত্যি বলতে মেলায় আসলে গ্রামের সত্যিকারের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে। 

মেলার মূল আকর্ষণ ছিল শিশুদের বিনোদনের নাগরদোলা

খাবার বিক্রেতা আনন্দ সরকার বলেন, নিমকি, জিলাপি, মন্ডা, মিঠাই, বিন্নি ও খইসহ হরেক রকম গ্রামীন খাবার বিক্রি করতে মেলায় এসেছি। প্রতি বছর আসি। আমার বাপ-দাদারাও এ মেলায় আসতেন।

সুকুমার পাল বলেন, মাটির তৈরি ব্যাংক, ঘোড়া, হাড়ি-পাতিল নিয়ে এসেছি। সারা বছর তেমন বিক্রি না হলেও মেলায় বিক্রি ভালো। 

গৃহবধূ শেফালি বেগম বলেন, মেলা থেকে লোহাড় বটি, মাটির পাতিল, কাঠের খেলনা, বিন্নি-খই কিনলাম। প্রতি বছর সংসারের নানা জিনিসপত্র এ মেলা থেকেই কিনে থাকি। 

মুখরোচক খাবারের কমতি ছিলা না 

ঘিওর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহম্মেদ শামীম বলেন, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও সিরাজগঞ্জ জেলার মানুষ আসেন এ মেলায়। মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। 

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়