ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুই দিনের পিঠা উৎসবে মেতেছে গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১০:০৮, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
দুই দিনের পিঠা উৎসবে মেতেছে গোপালগঞ্জ

বাঙালি ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপি পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা প্রশাসন ও শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এ পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায়, শেখ হাসিনা আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ ভাবুক, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুকুল উপস্থিত ছিলেন।

এ পিঠা উৎসবে বসেছে ৯টি স্টল। স্টলগুলোতে শোভা পেয়েছে চিতই, ভাপা, পুলি, নারকেলের তক্তি, খাঁজা পাকন, নারকেল নাক, শিমফুল, চাঁন্দোসা, সবজি কুলি, তারা, কলা, কাঠাল, পাটি সাপটা, বৈশাখী, আঙ্গুরী, সংসারী, লবঙ্গসহ প্রায় শতাধিক প্রকার পিঠা। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নানা বয়সি মানুষ এ উৎসবে যোগ দেন। বিভিন্ন পিঠা থেকে স্বাদ গ্রহণ করেন তারা। 

আজ (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় এ পিঠা উৎসব শেষ হবে।

পিঠা উৎসবে আসা শিশু লাভলী খানম বলেন, বাবার সাথে এ উৎসবে এসেছি। একসাথে এত রকমের পিঠা কোনো দিন দেখিনি। কয়েক রকমের পিঠা খেলাম খুব ভালো লাগছে।

পিঠা উৎসবে আসা গৃহবধূ জেসমিন বেগম বলেন, আমি এখানে এসে অনেক ধরনের নতুন নতুন পিঠা দেখলাম। এখান থেকে কিছু নতুন পিঠা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে নিয়েছি।

রোভার স্কাউট লিডার অমিত হাসান বলেন, আমরা রোভার স্কাউট থেকে পিঠা-পুলি বিক্রির একটি স্টল দিয়েছি। আমাদের এই স্টলে ৫০ প্রকারের পিঠা রয়েছে। আমরা সকল শ্রেণির ক্রেতার কথা চিন্তা করে প্রকার ভেদে প্রতি পিঠা ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করেছি।

কবি মিন্টু রায় বলেন, একদিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যদিকে পিঠা-পুলির আয়োজন। এই দুই আয়োজনে বর্ণিল সাজে সেজেছে পুরো শিল্পকলা একাডেমির চত্বর। এটি সত্যি মনোমুগ্ধকর।

শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুকুল বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম অপরিচিত বাঙালির পিঠা-পুলির সঙ্গে। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের পিঠা-পুলির পরিচয়টুকু যেনো বিলুপ্ত হয়ে না যায় সেজন্য এমন আয়োজন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এই পিঠা উৎসব আমাদের লোকজ সংস্কৃতিরই একটি অংশ। সম্মিলিতভাবে এ বছরই প্রথম আমরা এ উপজেলায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি। সাথে রয়েছে বাড়তি আয়োজন হিসেবে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথম দিনে ছিলো ব্যাপক ভিড়। এভাবে ভিড় থাকলে আমাদের এ উৎসব আরও একদিন বাড়তে পারে।

বাদল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়