ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের উপর পদবঞ্চিতদের হামলা, আহত ১০

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ২২:৫৯, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের উপর পদবঞ্চিতদের হামলা, আহত ১০

বরগুনায় আওয়ামী লীগের শান্তি সভায় যাওয়ার পথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানের উপর হামলার ঘটনায় ১০ নেতা আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুট করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনা সদরের গৌরীচন্না কলেজের সামনে হামলা করা হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৪ জুলাই বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ওই কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদ বঞ্চিত সবুজ মোল্লার গ্রুপ ও বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদক দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়। 

আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) গৌরীচন্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে সবুজ মোল্লার গ্রুপ সন্ধ্যা ৬টার দিকে যোগ দেয়। এর কিছুক্ষণ পর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা ওই শান্তি সমাবেশে যাওয়ার পথে সবুজ মোল্লার গ্রুপ তাদের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং পুলিশ পাহারায় ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগের সভাপতিকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক শান্তি সমাবেশে যাওয়ার পথে আমার দোকানের সামনে আসলে ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপ হামলা চালায়। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি দৌড়ে আমার দোকানে আশ্রয় নেয়। তখন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তাদের উপর হামলা করার জন্য দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং সভাপতি সম্পাদককে পিটিয়ে আমার দোকানের মালামাল ও ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা পয়সা নিয়ে যায়।’ 

এ বিষয়ে পদ বঞ্চিত ছাত্র নেতা বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক ছাত্রদলের সদস্যদের নিয়ে চলাফেরা করে। তাই ছাত্রদলের সদস্যদের আমরা প্রতিহত করেছি।’ 

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, গৌরীচন্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজিত শান্তি সমাবেশে যোগ দেওয়ার পথে একটা হামলা হয়েছে। এ বিষয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে বিষয়টি দেখবে। 

বরগুনার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলী আহম্মেদ বলেন, জেলা ছাত্রলীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকা ছাত্রলীগের সভাপতিকে উদ্ধার করেন তারা। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, দোকানপাটে ভাঙচুরের বিষয়টি নজরে এসেছে।  তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার। এ বিষয়েও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

ইমরান/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়