ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আমদানি হয় একটি পণ্য

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৯, ১ মার্চ ২০২৩  
নাকুগাঁও স্থলবন্দরে আমদানি হয় একটি পণ্য

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর দিয়ে ১৯টি পণ্য আমদানির কথা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি পণ্য আমদানি করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ভুটান থেকে কয়লা এলেও এখন একেবারে বন্ধ রয়েছে সেটির আমদানিও। ফলে স্থবির হয়ে পড়ছে স্থলবন্দরটি। সব ধরণের অবকাঠামোগত সুবিধা থাকার পরেও বর্তমানে এক প্রকার অচল অবস্থায় আছে বন্দরটি। 

এদিকে, পণ্য আনতে না পারায় ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছেন দিনের পর দিন। অপরদিকে কয়েক হাজার শ্রমিক পাচ্ছে না কাজ। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ফলে পাশ্ববর্তী গাবরাকুড়া স্থলবন্দর, কড়ইতলা স্থলবন্দর ও কামালপুর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। 

সম্প্রতি নাকুগাঁও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এই বন্দর দিয়ে আমদানিযোগ্য পণ্যগুলো হলো পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, বলক্লে, কোয়ার্টজ, চায়না ক্লে, গবাদি পশু, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মাছের পোনা, তাজা ফল, গাছ, বীজ, গম, মরিচ, রসুন ও আদা। এই বন্দরে ‘শ্রমিক ইউনিয়ন’ এ অন্তর্ভুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। এছাড়া দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কাজ করে আরও প্রায় এক হাজার শ্রমিক। লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়ন, আমদানি রপ্তানিকারক সমিতি ছাড়াও শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীর চেষ্টায় ১৯৯৭ সালে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী নাকুগাঁওয়ে শুল্ক বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০০৯ সালে তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এটিকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালুর ঘোষণা দেন। পরে সাড়ে ১৩ একর জমির উপর ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় স্থলবন্দরের অবকাঠামো। দীর্ঘদিন কাজ শেষে ২০১৫ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিচালনায় শুরু হয় কার্যক্রম। 

আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমরা বারবার তাগাদা দিয়েছি অন্য পণ্য আনার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। সহজে আমদানি যোগ্য পণ্যের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ করে বন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে আসামের জাগির রোডে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শুঁটকির বাজার। দেশে চাহিদা থাকার পরও শুঁটকি আমদানি করা যাচ্ছে না এই বন্দর দিয়ে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে বারবার আবেদন করেও কোনো ফল হচ্ছে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান না হলে আমরা পথে বসে যাবো। শ্রমিকরা না খেয়ে মরবে।’

নাকুগাঁও স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) পার্থ ঘোষ বলেন, তালিকাভুক্ত পণ্যের মধ্যে নিয়মিতভাবে পাথর আমদানি করা হচ্ছে। আগে কয়লাও আমদানি করা হতো। বিভিন্ন কারণে বাকি পণ্য আমদানি বন্ধ আছে। তবে আমরা আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্য পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বাড়াতে পারবো।

মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়