ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে ভাগ্যবদল

অদিত্য রাসেল, সিরাজগঞ্জ  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ৩ মার্চ ২০২৩  
ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে ভাগ্যবদল

ব্যবহার ও প্রয়োজনের পর ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের সামগ্রীকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জে গড়ে উঠেছে মেসার্স জিব্রাইল ট্রেডার্স প্লাস্টিক কাটিং এন্ড রিপেয়ারিং ফ্যাক্টরি। সেই প্লাস্টিক কাটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন টেবিল, চেয়ার, বোতল ও পানির পটসহ নানা ধরনের তৈজসপত্র। 

অন্যদিকে প্লাস্টিক মেশিনে ভাঙিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এতে কারখানার মালিক নিজের ভাগ্যবদলের পাশাপাশি গড়েছেন একশ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের পথ।

জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ছোট ক্ষুদ্র্র ব্যবসায়ীরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক ৪০ টাকা কেজি
দরে সদর উপজেলার চক-শিয়ালকোলে ৩ বিঘা জমির উপরে গড়ে তোলা জিব্রাইল ট্রেডার্সের কাটিং কারখানায় এনে বিক্রি করছে। এখানে এসব প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়কের চক শিয়ালকোলে গড়ে ওঠা মেসার্স জিব্রাইল ট্রেডার্স প্লাস্টিক কাটিং এন্ড রিপেয়ারিং ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা। কেউ বোতল পানিতে ধুয়ে কাটিং করে রোদে শুকাচ্ছেন। কেউবা বোতলগুলোর ছিপি খুলছেন। সেগুলো আবার কাটিং মেশিনে দিয়ে কাটছেন। প্রতিদিন ১শ জন শ্রমিক এ কাজ করে ২৭০ থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পাচ্ছেন।

কাটিং কারখানায় কাজের ফাঁকে কথা হয় আলেয়া খাতুন ও মনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে। তারা জানান, পুরাতন প্লাস্টিক বোতল কাটিং করার পর পানিতে ধোয়ার কাজ করে দিনে ২৭০ টাকা মজুরি পান। শুধু আলেয়া ও মনোয়ারা নয়, তার মতো অনেক শ্রমজীবী নারী এ কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

কারখানার টেকনিশিয়ান মায়দুল ইসলামের জানান, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে তার সংসার। এই উপাজিত অর্থে তার সংসার বেশ ভালোই চলছে। এখানকার কাটিং প্লাস্টিক ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হয়। রাস্তায় ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে চেয়ার, টেবিল, বোতল, পানির পট, মুরগির পানির টবসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী আবার নতুন করে তৈরি করা হয়। 

কারখানার শ্রমিক আল-আমিন বলেন, আমরা প্লাস্টিক বাছাই করি, পরে সেগুলো মেশিনে দিয়ে কাটিং করাসহ নানা ধরনের কাজ করি। এ কাজ করে আমাদের সংসার চলে।

ফ্যাক্টরির মালিক জিনহার আলী বলেন, পুরাতন জিসিনপত্রে ভাংগাড়ির ব্যবসা বাবার কাছ থেকে শিখেছি। আগে ছোট পরিসরে ছিলো। এখন আস্তে আস্তে বেশ বড় হচ্ছে। আমরা মূলত ফেলে দেওয়া পুরাতন প্লাস্টিক কাটিং করি। তারপর বস্তা ভর্তি করে ট্রাকযোগে ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করি। এগুলো দেশের বাইরেও চলে যায়। আমার এখানে বর্তমানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রায় ১০০ জন নারী-পুরুষ। 

/টিপু/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়