এক মিনিটেই ‘মাস্টার কি’ দিয়ে লক খুলে মোটরসাইকেল চুরি 

যে কোনো স্থান থেকে মাত্র এক মিনিটে ‘মাস্টার কি’ দিয়ে লক খুলে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যেত একটি চক্র। এরপর তারা চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রি করে দিত।

চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর আজ (৭ মার্চ) প্রেস ব্রিফ্রিং-এ তথ্যটি জানান জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম।

সম্প্রতি জয়পুরহাট শহরে সার্কিট হাউস মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চালাকালে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়। তিনি মামলা করলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মালঞ্চা গ্রামের আতোয়ার হোসেনের ছেলে তাওসিব হাসান (২৪), একই উপজেলার মাতখুর গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে মিম হোসেন (২৫), বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার উৎরাইল গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৪), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিন্নাগাড়ী গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে সোহান (২২), একই উপজেলার বাগদাপাড়া খালিপুর গ্রামের আলফার হোসেনের ছেলে শামীম (২৪) এবং একই গ্রামের তদির উদ্দিনের ছেলে আলফার হোসেন (৪৫)। 

নূরে আলম জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় সার্কিট হাউস মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে একটি ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন মোটরসাইকেলের মালিক রাশেদ। এরপর পুলিশ চোর চক্রের সদস্য রবিউলকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যে ৬টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলা চোর চক্রের  আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, মোটরসাইকেল চুরিতে দুটি মাস্টার কি ব্যবহার করতেন তারা। ওই মাস্টার কি দিয়ে এক মিনিটেই মোটরসাইকেলের লক খুলত তারা। 

প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহেদ আল-মামুন প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।