মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, আহত দুই পুলিশ সদস্য

মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় শহিদুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন। 

নিহত শহীদুল ইসলাম গাংনী গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৮ গ্রামবাসীকে আটক করেছে।

সোমবার (২০ মার্চ)  রাত পৌনে ৯ টার দিকে কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতের ভাই আকিদুল ইসলাম বলেন, সদরের কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের গাংনী ও পাটখালী গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্টুর ছেলে বিপ্লব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

পক্ষকাল আগে ‘ভিলেজ পলিটিক্স’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় গাবতলা মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কর্নসাটের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান নিয়ে গাংনী, পাটখালী গ্রামে দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জের ধরে সোমবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে আব্দুর রহমান সমর্থক শহিদুল ইসলাম ও মানিক মোল্লা স্থানীয় বাজার থকে বাড়ি ফেরার পথে পাটখালী তেতুলতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপক্ষ গ্রুপের তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে। 

এ সময় ঘটনাস্থলেই শহীদুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহত মানিক মোল্লাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে মাগুরা সদর থানা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় গ্রামবাসীর হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জব্বারুল ইসলাম জানান, সামজিক বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় সদরের গাংনী গ্রামের শহীদুল ইসলাম নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় মানিক মোল্লা নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছে। পরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে রকিবুল ও মাছুম বিল্লা নামে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত ৩ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে ৮ গ্রামবাসীকে আটক করেছে। পুলিশ সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ উদঘাটন ও হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।