ঢাকা     শনিবার   ০৩ জুন ২০২৩ ||  জ্যৈষ্ঠ ২০ ১৪৩০

‘স্বপ্ন না, বাস্তবে নতুন ঘর পেয়েছি’ 

বান্দরবান সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২২ মার্চ ২০২৩  
‘স্বপ্ন না, বাস্তবে নতুন ঘর পেয়েছি’ 

মংগুলি মারমার (৬০) ছয় সদস্যের পরিবার। বাড়ি বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নে ক্যামলং পাড়ায়। আগে এক কক্ষবিশিষ্ট ঘরে পরিবারের ছয়জনকে গাদাগাদি করে থাকতে হতো। প্রতিদিন ঠিকমতো খাবার যেখানে জুটত না সেখানে নতুন ঘর তৈরি করা ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু এখন আর  স্বপ্ন না, বাস্তবেই তিনি নতুন ঘর পেয়েছেন। 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ আধা-পাকা ঘর পেয়ে খুশি মংগুলি মারমা। এই আনন্দ-অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন না, বাস্তবে নতুন ঘর পেয়েছি।’

মংগুলি মারমার মতো বান্দরবান জেলার ৭ উপজেলায় আরো ১২৩টি আধাপাকা ঘর ও ৩০৭ টি মাচাং ঘরসহ মোট ৪৩০টি ঘর পেয়েছেন ভূমি ও গৃহহীন পরিবার।

আজ বুধবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪র্থ পর্যায়ে সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩শ ৬৫টি ভূমিহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধনী করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ  সময় তিনি একটি পরিবারও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

মুজিববর্ষ উপলক্ষে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ের জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বান্দরবান সদর উপজেলায় ৪৫টি, লামা উপজেলায় ৪০টি, আলীকদম উপজেলায় ০৭টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৫০টি, রুমা উপজেলায় ১১৬টি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১২০টি এবং থানচি উপজেলায় ৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।  

জেলা প্রশাসকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় হালনাগাদকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪,১৫৯। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে ৩,৮৭৭টি গৃহ বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১ম পর্যায়ে ২১৩৪ টি, ২য় পর্যায়ে ৫৬৪ টি, ৩য় পর্যায়ে ২৭৯টি এবং ৪র্থ পর্যায়ে ৪৩০টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে আজকের ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজ, জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস, যুব উন্নয়ন অফিসার পুলু প্রু মারমা, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবিএম আবুল কাশেম চৌধুরী বীরপ্রতীকসহ উপকারভোগীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চাইমং/তারা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়