হাকিমপুর উপজেলা ভবনগুলোতে ফাটল

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার পুরনো সরকারি ভবনগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া অফিসগুলোর ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ে সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের মাথার ওপর। এমনকি বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি চুয়ে পড়ে অফিসে। এতে গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি কাগজপত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়। ফলে এক প্রকার ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

বুধবার (২২ মার্চ) বিকেলে উপজেলা পরিষদের সেটেলমেন্ট, খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

দেখা যায়, সেটেলমেন্ট কার্যালয়ের ছাদের কয়েক স্থানে ফাটল ধরেছে। ছাদের প্লাস্টার ঝড়ে পড়ছে। খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের দু’টি রুম রয়েছে। রুম দুটিতে বৃষ্টি হলেই ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। আকাশে মেঘ দেখা দিলেই আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখেন অফিস কর্মচারী-কর্মকর্তারা।

সেটেলমেন্ট অফিসে সেবা নিতে আস একজন গ্রাহক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জমির কাগজ ঠিক করতে এই অফিসে এসেছে। কিন্তু অফিসের বেহাল দশা, ভবনটিতে ফাটল ধরেছে, এখানে থাকা বিপদজনক।

ওই অফিসের কর্মচারী সান্টু মিয়া বলেন, ঝুঁকি নিয়ে সেটেলমেন্ট অফিসে কাজ করতে হচ্ছে। কিছুদিন আগে ছাদের প্লাস্টার খুলে আমার মাথায় পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেসময় মাথায় কয়েকটা সেলাই করতে হয়েছিলো।

প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহায়ক রাশেদ মিয়া বলেন, পুরনো কোর্ট ভবনে আমাদের ষ্টোর রুম। কিন্তু ভনবটি পুরনো হওয়ায় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়েরও একই অবস্থা।

সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন শেখ বলেন, কিছুদিন আগে এই অফিসে যোগদান করেছি। যোগদানের পর দেখছি এই অফিসটি ঝুঁকিপূর্ণ। আতঙ্কে থাকতে হয়। অফিসটির সংস্কার দরকার। তা না হলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ-আলম বলেন, উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থিত সেটেলমেন্ট ও সাব-রেজিস্ট্রার ভবনটি রয়েছে একটি পুরাতন ভবনে। এর আগেও সংস্কার হয়েছিলো। তবে ভবনটি বর্তমানে আর ব্যবহার যোগ্য নয়। ইতোপূর্বে গণপূর্ত বিভাগ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকে চেয়েছিলো, আমরা দিয়েছি। আশা করি নতুন করে ভবনটি তারা তৈরি করবেন।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও আমাদের উপজেলা প্রশাসন ভবনটিতেও অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে এখানে অফিস সঙ্কট রয়েছে। আমরা প্রশাসনিক ভবনের জন্য তালিক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছি। আশা করছি নতুন করে ভবনগুলো তৈরি হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।