ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পাসপোর্ট অফিসে ‘ঘুষ’ নিয়ে মারামারি, মামলা দায়ের

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৫ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ২১:৩৭, ২৫ মার্চ ২০২৩
পাসপোর্ট অফিসে ‘ঘুষ’ নিয়ে মারামারি, মামলা দায়ের

টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ‘ঘুষ’ নিয়ে মারামারি ঘটনায় মামলা হয়েছে। টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষারিক মো. আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে কথিত দালাল আলাউদ্দিনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তে রয়েছে।

পাসপোর্ট অফিস, দালাল ও সাধারণ গ্রাহক সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্ট প্রতি ১২শত টাকা ‘চ্যানেল ফি’ দিতে হয়। এই টাকা না দিলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণসহ পাসপোর্টের আবেদনের ফাইল পড়ে থাকে। আর দালালের মাধ্যমে ১২শত টাকা ‘চ্যানেল ফি’ দিলে সসম্মানে পাসপোর্ট করা হয়। 

অভিযোগ রয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে ‘চ্যানেল ফির’ জন্য আলাউদ্দিন নামের এক দালালকে অফিসে আটকে রাখেন আরিফুজ্জামান। আলাউদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগও রয়েছে। গত ৯ মার্চ সেই ক্ষোভে আরিফুজ্জামানের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে আলাউদ্দিন। পরে আরিফুজ্জামান টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ১২ মার্চ মো. আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলাটি টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মনির হোসেন তদন্ত করছেন। আলাউদ্দিন পলাতক রয়েছেন। 

সম্প্রতি টাঙ্গাইল পৌরসভার এনায়েতপুর এলাকার আল আমিন নামে এক যুবক অনলাইনে আবেদন করে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দেন। পরে আবেদন ফাইল পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার জন্য ভোর সাড়ে ৫টায় লাইনে দাঁড়ান। সকাল সোয়া ১০টায় তার সিরিয়াল আসলে আবেদন ফাইলে দালালের চিহ্ন না থাকায় তাকে বের করে দেওয়া হয়। 

আল আমিন বলেন, ‘দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করতে গেলে অফিসের কর্মচারীরা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। পরে স্থানীয় এক বড় ভাইকে নিয়ে গেলে আমার পাসপোর্ট করে দেন কর্মচারীরা। এক কথায় টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসে দালাল ছাড়া কাজ করা খুব কষ্টকর।’  

সদর উপজেলার মগড়া গ্রামের আবু হানিফ বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টার সময় পাসপোর্ট অফিসের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। দালাল না ধরার কারণে দুপুর ২টার পর লাইন থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’  

পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষারিক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘আমি ছুটিতে অফিসের বাইরে আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’ 

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসানের কাছে মুঠোফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. মনির হোসেন বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। আসামি পলাতাক রয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। 
 

কাওছার/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়