ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বগুড়ায় শজিমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৮ 

বগুড়া প্রতি‌নি‌ধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৩০ মার্চ ২০২৩  
বগুড়ায় শজিমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৮ 

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

শজিমেক ছাত্রাবাসে বুধবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টা থেকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই সংঘর্ষ চলে। এই সময় ছাত্রবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

শজিমেকের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সম্প্রতি শজিমেকে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নবাগত ছাত্রদেরকে নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। 

সংঘর্ষে আহতরা হলেন, শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী দ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয়। সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী ইমতিয়াজ, রেজা,ফুয়াদ ও অমি। বর্তমানে তারা শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। 

ছাত্রাবাসে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা জানান, এ বছর মেডিক্যালে সুযোগ পাওয়া (৩২ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের নিজ নিজ গ্রুপে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বন্দ্বে জড়ানো সবাই ভর্তি হতে আসা ৩২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইমিডিয়েট সিনিয়র ৩১ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাত ১০ টার দিকে এদের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় ছাত্রবাসের নিচতলার অন্তত পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর হয়৷ 

শজিমেক ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম পেয়েছেন। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না৷ 

সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, সভাপতির গ্রুপের নেতাকর্মীরা প্রথম আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে আমাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার চার কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। 

বগুড়া ছিলিমপুর (শজিমেক হাসপাতাল) পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছার রহমান জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছিলো। এখন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত আছে৷ এই ঘটনায় আহতরা শজিমেক হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনাম/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়