‘নায়ক ফারুক সবাইকে আপন করে নিতেন’

বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়া ভাই খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন খান দুলু ওরফে চিত্র নায়ক ফারুক খুব সহজে এলাকার মানুষকে আপন করে নিতেন এবং ভালবাসতেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে ফারুক সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার ছোট ভগ্নিপতি ও চাচাত ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী পাঠান এ কথা বলেন। 

মোহাম্মদ আলী পাঠান বলেন, ফারুক ভাই চিত্রজগতের হিরো হওয়ার পর একটু বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারপরও তিনি যখনই সময় পেতেন, পৈতৃক ভিটায় চলে আসতেন। যখন তার হাতে কাজ থাকত না, তখন বেশি বেশি বাড়ি আসতেন। উনি বাড়ি আসলে শত শত মানুষ ভিড় করত। তখন তিনি সবার সঙ্গে পরিচিত হতেন, কুশল বিনিময় করতেন।
 
মোহাম্মদ আলী পাঠান আরও বলেন, গ্রামের অসহায় দুস্থ মানুষকে তিনি তার সাধ্যমত সহযোগিতা করতেন। বাড়িতে আসলে বেশি সময় থাকতেন না। সকালে আসলে দুপুরে কিংবা বিকেলে চলে যেতেন। তাছাড়া বছরে দুটি ঈদে তিনি বাড়ি আসতেন এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে নামাজ পড়তেন। এলাকায় কোনো অনুষ্ঠান হলে তাকে দাওয়াত করলে তিনি চেষ্টা করতে সেখানে উপস্থিত থাকতে।

চিত্র নায়ক ফারুক সোমবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ফারজানা পাঠান, কন্যা ফারিহা তাবাসসুম পাঠান, পুত্র রওশন হোসেন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্যা ভক্ত রেখে গেছেন। 

আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৯টায় সোমটিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে ওই মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। 

এর আগে রাত ৮টার দিকে তার মরদেহ পৈতৃক ভিটায় আনা হবে। সেখানে এলাকার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।