ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শহিদ শান্তিরক্ষীদের জানাজা ও রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫  
শহিদ শান্তিরক্ষীদের জানাজা ও রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শহিদ ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজা শেষে তাদের প্রতি যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হয়। এতে অংশ নেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, সামরিক-বেসামরিক বিভিন্ন পদবির কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পদবির সদস্যরা।

জানাজার আগে শহিদ শান্তিরক্ষীদের জীবনবৃত্তান্ত পড়ে শোনানো হয় এবং তাদের নিকটাত্মীয়রা বক্তব্য রাখেন। এর পর জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে ইউনিসফার চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসার বরিস-এফ্রেম চৌমাভি বক্তব্য দেন।

জানাজা শেষে তাদের প্রতি যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তার সামরিক সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান এবং বিমান বাহিনী প্রধান শহিদ শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের  উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এর পর ইউনিসফার চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসার শহিদ শান্তিরক্ষীদের আত্মীয়দের কাছে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের পতাকা হস্তান্তর করেন। 

পরে শহিদ শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দাফনের জন্য নিজ নিজ এলাকায় (নাটোর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রাজবাড়ী এবং কিশোরগঞ্জ) হেলিকপ্টারের (আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সড়কপথে) মাধ্যমে মরদেহ পাঠানো হয়। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শহিদ শান্তিরক্ষীদের পরিবারের কাছে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।

রবিবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।সং

বাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছে এবং ইউনিসফাসহ সকল মিশন এলাকায় যথাশিগগির ড্রোন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

শহিদ শান্তিরক্ষীদের মরদেহ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দেশে প্রত্যাবর্তনের আগে আবেইতে যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে তাদের জানাজা এবং সামরিক রীতি অনুযায়ী সম্মান প্রদর্শন করা হয়। ওই ড্রোন হামলায় ৬ জন শান্তিরক্ষী শহিদ হওয়ার পাশাপাশি ৯ জন শান্তিরক্ষী আহত হন, যাদের মধ্যে ৮ জন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা এখন শঙ্কামুক্ত আছেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়