ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সুন্দরবনে প্রায় ১০০ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫০, ১৯ মে ২০২৩   আপডেট: ১৮:৫৯, ১৯ মে ২০২৩
সুন্দরবনে প্রায় ১০০ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ আহরণ বন্ধ রেখে মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে শুক্রবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগরে ও সুন্দরবনে সব প্রকার মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এই নিষেধাজ্ঞা চলবে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে কোনো প্রকার মাছ বা জলজ প্রাণী আহরণ করতে পারবেন না জেলে বা মৎস্যজীবীরা।

মৎস্য অধিদপ্তর জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নৌযান ব্যবহার করে মাছ ধরা অথবা অন্য কোনোভাবে যেকোন প্রজাতির সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই সময় বাগেরহাট জেলার প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে।

এছাড়া সুন্দরবনের নদী ও খালে মাছের প্রজনন স্বাভাবিক রাখতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকবাহী নৌযান সুন্দরবনের অভ্যন্তরে চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এরফলে আগামী তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটকদের আগমন ও ভ্রমণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। 

বেলায়েত হোসেন বলেন, ২০ মে থেকে মৎস্য অধিদপ্তরের জারিকৃত সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার সময়ে সুন্দরবনেও মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে। এছাড়া মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ১ জুন থেকে ৩১আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের নদী-খালে কোনো প্রকার মাছ শিকার করতে পারবেন না জেলেরা। একই সঙ্গে মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে সুন্দরবনে পর্যটকবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। এই সময়ে সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য জেলে ও দর্শনার্থীদের কোনো পাশ-পার্মিট দেওয়া হবে না। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুন্দরবনে প্রবেশ করবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। 

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ.এস.এম রাসেল বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এর ৩ ধারার ২ উপধারা অনুযায়ী এই নিষেদ্ধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেদ্ধাজ্ঞা সঠিকভাবে প্রতিপালনের জন্য মৎস্য বিভাগ কঠোর অবস্থানে থাকবে। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় অভিযান চালানো হবে। যারা এই নিষেদ্ধাজ্ঞা অমান্য করবেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। 

তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রায় ১২ হাজার জেলেকে দুই দফায় ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। 

টুটুল/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ