ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

খুলনায় অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীরই শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ৩০ মে ২০২৩  
খুলনায় অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীরই শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ

আসন্ন কেসিসি নির্বাচনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কাউন্সিলর প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিকের নিচে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া ১৮০জন কাউন্সিলর প্রার্থীর ৮৬ জনই মাধ্যমিক স্কুলের গন্ডি পেরোননি। 

তাদের মধ্যে পাঁচজন নিজেদের অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন, ১১ জন স্বশিক্ষিত এবং ৯ জন স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অন্যদের মধ্যে ৩০ জন অষ্টম শ্রেণি, দু’জন পঞ্চম এবং দু’জন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। এসএসসি বা মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন ২৭ জন।

প্রার্থীদের দেওয়া হালফনামায় এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে আগের তুলনায় এবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এবারের নির্বাচনে ৩৫ জন স্নাতক উত্তীর্ণ এবং ১৪ জন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনে এ সংখ্যা ছিল স্নাতক ২৮ ও স্নাতকোত্তর ৫ জন। ২০১৮ সালে ছিলেন স্নাতক ৩৫ ও স্নাতকোত্তর ১২ জন। 

হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ও মহানগর বিএনপির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন তোতনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বাক্ষরজ্ঞান’। আরেক প্রার্থী ফিরোজ আলম নিজেকে দাবি করেছেন ‘স্বশিক্ষিত’ হিসেবে। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তিন প্রার্থীর মধ্যে আমিনুল ইসলাম মুন্না (বর্তমান কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র) এবং সমীর কুমার দত্ত ‘স্বাক্ষরজ্ঞান’ সম্পন্ন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছয় প্রার্থীর মধ্যে হাসান ইফতেখার ও হায়দার বিশ্বাস ‘স্বশিক্ষিত’, আরেক প্রার্থী মল্লিক আসাদুজ্জামান ‘স্বাক্ষরজ্ঞান’ সম্পন্ন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কবির হোসেন কবু মোল্লা সপ্তম শ্রেণি পাস।

অপরদিকে, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে এইচএসসি উত্তীর্ণের সংখ্যা ৪০ জন। অন্যদের মধ্যে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুক এ আজিম ও মাহফুজ পারভেজ মুন্নার শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্বশিক্ষিত’। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ইমাম উদ্দিন আহমেদ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিনা শেখ আয়শা, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের আকবর পাঠান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের হোসনে আরা ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুস সালামও স্বশিক্ষিত। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লোকমান হাকিম ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হাসান চান নিজেকে অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন হিসেবে দাবি করেছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শ্রমিক লীগ নেতা কাজী নুরুল ইসলাম বেবী এবং সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রেকসোনা কালাম লিলি পঞ্চম শ্রেণি পাস।

এ ব্যাপারে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সভাপাতি অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন, নগর পরিচালনা ও নীতিনির্ধারণে জড়িত কাউন্সিলরদের ন্যূনতম একটি শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। এতে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, সংযোগ স্থাপন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করা সহজ হয়। তবে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, তাদের মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা থাকতে হবে। অন্যথায় সুশাসনের চেয়ে অপশাসন বেশি হতে পারে। 

নুরুজ্জামান/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়