ঢাকা     মঙ্গলবার   ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ৬ ১৪৩১

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে নারীর অনশন, কারাগারে ছাত্রলীগ নেতা

নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ২ জুন ২০২৩  
স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে নারীর অনশন, কারাগারে ছাত্রলীগ নেতা

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে নীলফামারীর ডোমার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপনের (৩০) বাড়িতে অনশন করছেন এক নারী।

শুক্রবার (২ জুন) ওই নারীর করা মামলায় ছাত্রলীগের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অভিজিৎ সর্বজ্ঞ পাপন ডোমার পৌর এলাকার ছোটরাউতা সাহাপাড়া এলাকার দেবরঞ্জন সর্বঞ্জের ছেলে। এর আগে, গতকাল দুপুরে অনশন শুরু করেন ওই নারী।

জানা যায়, সম্প্রতি নীলফামারী সদর থানায় পাপনের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন ওই নারী। শুক্রবার সেই ঘটনায় মামলা করেন তিনি। পরে সেই মামলায় পাপনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডোমার থেকে পাপনকে আটক করা হয়। শুক্রবার মামলা দায়েরের পর বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পাপনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ২০১৩ সালে পাপনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ২০১৪ সালে পঞ্চগড়ের বোদেশ্বরি মন্দিরে আমরা বিয়ে করি। পরে পাপন আমাকে বলে, এখন কাউকে কিছু জানাইও না। আমার মায়ের হার্টের সমস্যা, মাকে আমি আস্তে আস্তে ম্যানেজ করে তোমাকে বাড়ি নিয়ে যাব। এখন তুমি ভাড়া বাসায় থাকো।

তিনি বলেন, আমি যখন সাহাপাড়া নারু সাহা নামে এক লোকের বাড়িতে ভাড়া ছিলাম। সে সময় তার মা আমাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। পরে তার মা আমাকে গালিগালাজ করেন ও মারতে আসেন। পরে বাড়িওয়ালা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

ভুক্তভোগী আরও বলেন, নীলফামারী ও ডোমার শহরের বিভিন্ন জায়গায় আমরা বাসা ভাড়া করে সংসার করে আসছিলাম। কিন্তু একমাস হলো, পাপন আমার সঙ্গে দেখা করে না, খোঁজও নেয় না। এমনকি, আমার মোবাইল ফোনও রিসিভ করে না। এখন সে আমাকে স্ত্রী বলে স্বীকার করছে না। আমি যেখানে ভাড়া ছিলাম, সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে বুঝতে পারবেন আমার স্বামী কে। আমার জীবন-যৌবন সব শেষ করে এখন আমাকে স্ত্রী হিসেবে মানে না। আমাকে খারাপ বানানোর জন্য সে অনেক চেষ্টা করেছে। আমার তিন মাসের পেটের বাচ্চা নষ্ট করে দিছে। আমি তার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে। সে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি স্ত্রীর মর্যাদা চাই।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে এক সন্তানের জননী

সিথুন/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়