ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহাসিক: ভারতীয় সেনা প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৪, ৬ জুন ২০২৩  
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহাসিক: ভারতীয় সেনা প্রধান

কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন ভারতীয় সোনাপ্রধান মনোজ পান্ডে

ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের সম্পর্ক অনেক পুরোনো এবং আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধন আছে। আমাদের ভাষা-সংস্কৃতি ছাড়াও অন্য অনেক বিষয়ে মিল আছে। আর যদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বলতে হয়- দুই দেশের সম্পর্ক একে অপরের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়।’ 

মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণের পর তিনি সংবাদিকদের একথা বলেন। 

জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, সামরিক সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। সামরিক সহযোগিতার জন্য আমরা তিন-চারটি বিষয়ে বিশেষ জোর দিচ্ছি। প্রথমটি অবশ্যই দুই দেশের সেনাদের যৌথ প্রশিক্ষণ, যাতে তারা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন। তারপর রয়েছে দুই দেশের যৌথ মহড়া। আমরা দুই দেশের সেনা সদস্যদের নিয়ে যৌথ মহড়া আয়োজন করে থাকি যাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। এই পরিদর্শনের মতো আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায়ই পরিদর্শন করে থাকি। এ ছাড়াও আমরা সাংস্কৃতিক পরিদর্শনও করে থাকি যাতে দুই দেশের সেনা সদস্যদের পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়।

তিনি আরও বলেন,  দুই দেশের যৌথ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি ও উৎপাদনে অনেক ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এটি একটি সম্ভাবনাময় দিক।  

ভারতীয় সেনা প্রধান বলেন, আমি নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি, বিএমএর কমান্ড্যান্ট আমাকে ব্রিফ করেছেন। সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখিয়েছেন। সব দেখার পর আমি বলতে চাই, এটি একটি বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রশিক্ষণগত দিক দিয়ে বলতে চাই, আমার মনে হয় পেশাগত সামরিক শিক্ষা নেতৃত্বের পাশাপাশি একাডেমিকের একটি ভালো সামঞ্জস্য রয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উন্নয়ন সাধনের জন্য অনেক নতুন প্রযুক্তি আনা হয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে আমার মনে হয় সুযোগ সুবিধা, অবকাঠামো, প্রশাসন আর এলাকা সব মিলিয়েই মিলিটারি একাডেমির জন্য বিএমএ উপযুক্ত।’  

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, কমান্ড্যান্ট বিএমএ এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।  

দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে বাংলাদেশি ১২৩ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী, একজন দক্ষিণ সুদানের এবং একজন তানজানিয়ার মিলে ১৪৮ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। সর্ববিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার শেখ সাব্বির আহমেদ ৮৪তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকষ অফিসার ক্যাডেট বিবেচিত হন ও অসামান্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং কোম্পানি সার্জেন্ট মেজর মোহাম্মদ তানভীর রহমান তপু সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদ’ অর্জন করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী অফিসার ক্যাডেটরা নিজেকে দেশমাতৃকার সেবায় আত্মনিয়োগের শপথ নেন। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, নির্বাচিত অতিথি এবং অফিসার ক্যাডেটদের মা-বাবা ও নির্বাচিত অভিভাবকরা সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের র‌্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন ।

রেজাউল/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়