কেসিসি নির্বাচন : হিমশিম খাচ্ছেন সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীরা
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
খুলনা সিটি কর্পোরেশনে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ৪টি ওয়ার্ডের বিশাল এলাকায় প্রচারণা চালাতে গিয়ে চরম হিমশিম খাচ্ছেন নারী প্রার্থীরা। পেরে উঠছেন না তারা।
দেখা যায়, কেসিসিতে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ড ভাগাভাগি করে দশটি সংরক্ষিত আসন নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩১টি ওয়ার্ড নারী-পুরুষ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও সংরক্ষিত দশটি আসন শুধুমাত্র নারীদের জন্যই নির্ধারিত। ফলে একেকটি আসন তিনটি ওয়ার্ডে বিস্তৃত। আর একটি সংরক্ষিত আসন চারটি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
প্রচারণা চালাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের ৩৯ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী। তীব্র গরমের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডের পুরুষ প্রার্থীদের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বেশি এলাকা ঘুরতে হচ্ছে তাদের। গণসংযোগ করতে গিয়ে নারী প্রার্থীরা হাঁপিয়ে উঠছেন। সব ওয়ার্ডেই বর্তমান কাউন্সিলরকে ঘিরে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন।
কেসিসি'র সংরক্ষিত ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মাজেদা খাতুন বুধবার (৭ জুন) ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারে গণসংযোগ করেন। এ সময়ে তিনি এ বাজারের ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নেন। গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, শহদিুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম সুইট, সোহেল ইসলাম, মো. মনিরুজ্জামান, নাজমা, লাকি, সামছুদ্দোহা সোহান, শেখ হাসিনা, ফুলি, রোজি, জরি, অনি ও নিঝুম প্রমুখ। এর আগে তিনি শান্তিধাম মোড়, পূর্ব বানিয়াখামার, মিস্ত্রিপাড়া ও ইকবালনগর মোড়ে গণসংযোগ করেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী মাজেদা খাতুন বলেন, প্রচারণা চালানো কষ্টকর হলেও মানুষের জন্য তিনি জীবন উৎসর্গ করতে চান। বিগত বছরগুলোতে ওয়ার্ডবাসীর পাশে ছিলেন। আগামিতেও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবেন। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
অপরদিকে, সংরক্ষিত ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হালিমা ইসলাম নগরীর নতুন বাজার চর বস্তি এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রচারে হিমশিম খাচ্ছি। ভোটাররা সবাই প্রার্থীকে এক নজর হলেও দেখতে চান। ভ্যাপসা গরম ও কড়া রোদে গণসংযোগে কষ্ট হচ্ছে।’
এ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কনিকা সাহা নগরীর রেলওয়ে হাসপাতাল সড়কে গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘তিনটি ওয়ার্ডে ছুটতে গিয়ে ঘাম ছুটে যাচ্ছে। সকাল, বিকেল ও সন্ধ্যা– তিনটি ওয়ার্ড ভাগ করে প্রচার চালাচ্ছি।’
সংরক্ষিত ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মামনুরা জাকির খুকুমনি নগরীর বসুপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘চারটি ওয়ার্ডে নির্বাচন করা নারী প্রার্থীর জন্য কষ্টকর। প্রচারে সময় পাওয়া যাচ্ছে কম। স্বল্পসময়ে ওয়ার্ডগুলোর সব ভোটারের কাছে যাওয়া কঠিন।’
সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী রুমা খাতুন বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকা অনেক বড়। এত অল্প সময়ে সব এলাকা ও ভোটারের কাছে যাওয়া অসম্ভব। তার পরও সবার দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করছি। পোস্টারিং-মাইকিংয়ের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকরাও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।’
/টিপু/