পিরোজপুরে ২টি আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

পিরোজপুর-১ (নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানী) আসন ও পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ) আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (৩০ জুলাই) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মাদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয় গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ ওই রুল জারি করেন। 

পিরোজপুর-১ আসনটি নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ এ তিন উপজেলা এবং পিরোজপুর-২ আসনটি ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও নেছারাবাদ এ তিন উপজেলা নিয়ে ছিল। কিন্তু গত ৩ জুন নির্বাচন কমিশন নেছারাবাদ উপজেলাকে পিরোজপুর-১ আসন থেকে বাদ দিয়ে পিরোজপুর-২  আসনের সঙ্গে যোগ করে এবং একইসঙ্গে পিরোজপুর-২ এর সঙ্গে থাকা ইন্দুরকানী  উপজেলাকে পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যোগ করে। এতে নতুন সীমানা হিসাবে নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও ইন্দুরকানী এ তিন উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-১ এবং নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভান্ডারিয়া— এ তিন উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর-২ আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণ হয়।

ওই দুই আসনের নতুন সীমানা পুননির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কাউখালী, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী ও নেছারাবাদের বাসিন্দারা পৃথকভাবে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের ভিত্তিতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৯ আগস্ট ওই রুলের ওপর শুনানি হবে বলে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করা হাইকোর্টের জৈষ্ঠ্য আইনজীবী এম কে রহমান জানান। এ সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন কামাল হোসেন মিয়াজী।   

পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শ. ম রেজাউল করিম ও পিরোজপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। নেছারাবাদ উপজেলার একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে নেছারাবাদ উপজেলাটি উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। গত সাড়ে ৪ বছরে পিরোজপুর-১ আসনের এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।