খাল পারাপারের ভরসা দাড়টানা নৌকা, ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ
পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে স্কুল-মাদরাসায় যাতায়াত করে শিশুরা
চরম ভোগান্তি নিয়ে দাড়টানা নৌকায় খাল পারাপার হতে হয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ২০ গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষকে। এতে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এমনকি হাসপাতালে রোগী নিতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাসিন্দারা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া ও ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে পাঁচজুনিয়া খাল। যাতায়াতের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই খাল পার হয়ে যেতে হয় উপজেলা সদর, ইউনিয়ন পরিষদ এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে। তাই বহু বছর আগে পারাপারে জন্য এ খালে একটি দাড়টানা নৌকার ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। বর্তমানে এ নৌকায় খাল পারাপার করছে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি মাদরাসা ও একটি কলেজের শিক্ষার্থীসহ ২০ গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। আর এ খাল পার হতে গিয়ে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কৃষকরা। এছাড়া গর্ভবতী মা কিংবা অসুস্থ রোগীদের নিয়ে খাল পারাপারে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। তাই এই খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উত্তর ছৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ হোসেন জানান, আমরা বারবার মেম্বর ও চেয়ারম্যানের কাছে গেছি। সবাই বলে ব্রিজ নির্মাণ করে দেবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা অবহেলিতই রয়ে গেলাম। আমাদের এলাকার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে আমরা বড় ভোগান্তি পোহাচ্ছি। এছাড়া অসুস্থ রোগীদের নৌকায় করে হাসপাতালে নেওয়া অনেক কষ্ট।
ধানখালী এ.এস.এইচ আশরাফ একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আমান জানান, আমার এই খাল পার হয়ে স্কুলে যাই। অনেক সময় ভয় করে। কয়েকদিন আগেও খালে এক শিক্ষার্থী পড়ে গিয়েছিল। বৃষ্টির সময় খালে স্রোত থাকে তখন আরো বেশি ভয় লাগে। ব্রিজ হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল বারী পূর্ন জানান, পাঁচজুনিয়া খালের উপর ৯০ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। প্রস্তাবটি পাস হলে ব্রিজ নির্মাণ শুরু হবে।
ইমরান/ মাসুদ